১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

এক মামলা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ
বিএনপি
ফাইল ছবি - নয়া দিগন্ত

কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে করা দুটি পৃথক মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া নড়াইলে করা একটি মানহানী মামলা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে এসব মামলার শুনানি শেষে আজ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়। গতকাল রোববার নাশকতার অপর মামলা এবং নড়াইলে মানহানির মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আজ সোমবার আদেশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন।

গত ২২ মে আদালতের অনুমতি নিয়ে জামিন আবেদন দায়ের করার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ কুমিল্লার নাশকতার মামলা ও নড়াইলে মানহানির মামলায় শুনানির জন্য গতকাল রোববার (২৭ মে) দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

কুমিল্লার মামলা :
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হায়দার পুলের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১এ চলমান। ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত আবেদনটির পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য রাখেন। এ অবস্থায় শুনানি না করে এ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়েছে।

নড়াইলে মানহানি মামলা :
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকি ইমাম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতে বলা হয়েছে দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২-এর অধীনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। এ মামলাটি জামিনযোগ্য।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ওই রায়ের পর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। পরে অর্থাৎ গত ১৬ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু আরো কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোয় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।


আরো সংবাদ



premium cement