২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি : মির্জা ফখরুল

নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা : নয়া দিগন্ত -

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করে আবারো বিচারের উদ্যোগ নেয়া হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের একাদশতম বার্ষিকীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনাকর্মকর্তাদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছে, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। এই ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী থেকে ওই সময়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। আমরাও মনে করি, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেব।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা নিহত সেনাকর্মকর্তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন। এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো: শাহজাহান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কোহিনুর হোসেন নূর, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীমুর, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ওই বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ। একপর্যায়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিডিআর) ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দিতেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তার ন্যায্য অধিকার জামিনও তাকে দেয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement