২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রিফাত হত্যা

নয়ন বন্ডের বন্ধু ও গৃহকর্মীর চাঞ্চল্যকর বর্ণনা

-

বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় দায়রা জজ আদালতে গতকাল সোমবার তিনজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ সাক্ষীরা হলেন হেলাল সিকদার, দুলাল খান ও নয়ন বন্ডের বাসার কাজের মহিলা ফুলি বেগম। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামান তাদের সাক্ষ্য ও জেরা রেকর্ড করেন। এ ছাড়া শিশু আদালতেও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ পর্যন্ত ২৫ জন ও শিশু আদালতে ৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় আটজন প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে উপস্থিত হয়। আসামি মুছা পলাতক রয়েছে।
আদালতে হেলাল সিকদার বলেন, নয়ন বন্ড আর আমি ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে এসএসসি পর্যন্ত বরগুনা জিলা স্কুলে পড়াশুনা করেছি। নয়ন বন্ড আমার ভালো বন্ধু ছিলো। সে ২০১৮ সালের শেষ দিকে মিন্নিকে বিয়ে করে। ২০১৯ সালে বরগুনা ইউটিডিসি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব পাশে নয়ন বন্ড জন্মদিন পালন করে। আমি ওই অনুষ্ঠানে ছিলাম। মিন্নি একটি ফুলের তোড়া নিয়ে সেখানে আসে। রিফাত ফরাজি, তানভির, নাঈমসহ ১০ থেকে ১৫ জন ছিল। মিন্নি নয়ন বন্ডকে কেক খাইয়ে দেয়। সে দৃশ্য আমি মোবাইল ফোনে ধারণ করে ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেই। ঘটনার দুই দিন আগে রিফাত শরীফের সঙ্গে সকাল ১০টার সময় মিষ্টিপট্টির রোডে দেখা হয়। রিফাত আমাকে বলে তোর সঙ্গে কথা আছে । ওই দিন বরগুনা প্রেস ক্লাবের সামনে আবার দেখা হয়। আমাকে রিফাত শরীফ তার মোটরসাইকেলে করে জিলা স্কুলে নিয়ে যায়। রিফাত আমাকে জিজ্ঞেস করে তুই ভিডিও ছেড়েছিস কেন? এরপর রিফাত আমার ফোন নিয়ে যায়। আমি নয়ন বন্ডকে বলে দেই। নয়ন বন্ড মিন্নিকে ফোন করে বলে রিফাত শরীফ যেন আমার ফোনটি দিয়ে দেয়।
সাক্ষী দুলাল খান বলেন, ঘটনার দিন ২৬ জুন সকাল ১০টায় একজন যাত্রী নিয়ে আমি ঘটনাস্থল ক্যালিক্স একাডেমির সামনে যাই। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আবার যাত্রীর অপেক্ষায় থাকি। তখন দেখি সাত থেকে আটজন লোক একটি ছেলেকে টানাহিঁচড়া ও কিল ঘুষি মারতে মারতে নিয়ে আসে। একটু পরে দুইজন ছেলে দুইটি দা নিয়ে এসে ওই ছেলেটাকে কোপাতে থাকে। ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার রিকশায় উঠে বলে, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও। আমি একটু দূরে আসার পরে একটি মেয়ে এসে আমার রিকশায় ওঠে। আমি মেয়েটিকে ছেলেটার কাটা জায়গা চেপে ধরতে বলি। রক্তে আমার রিকশা ভিজে যায়। সকল রোডে রক্ত পড়েছে। আমি বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে আসি। ওই মেয়েটাও ছিল। পরে জানতে পারি নয়ন বন্ড, রিফাত ফারাজি, রিশান ফরাজিরা রিফাত শরীফকে কুপিয়েছে।
নয়ন বন্ডের বাসার কাজের মহিলা ফুলি বেগম বলেন, মিন্নি প্রতিদিন নয়ন বন্ডের বাসায় আসত।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আদালতে যে ভাবে সাক্ষ্য দিয়েছে তাতে আসামিরা ন্যায়বিচার পাবেন।
শিশু আদালতে দু’জনের সাক্ষ্য
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় শিশু আদালতে গতকাল দুইজনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। ওই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মঞ্জুরুল আলম জন ও আনোয়ার হোসেন মৃধা। শিশু আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। তাদেরকে ১০ জন আইনজীবী জেরা করেন। সোমবার সকালে নিত্য দিনের মতো বরগুনা কারাগার থেকে শিশু আসামি ৯ জন ও জামিনে থাকা পাঁচজন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, সাক্ষীরা যেভাবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে সকল আসামির সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া আটজন আসামি ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আমি আশা করি রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন

সকল