২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

-

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অবশ্যই মানতে হবে। তাদের এই রায় প্রত্যাখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। সেখানে যতজন বিচারক ছিলেন তারা সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে মিয়ানমারকে ৪ মাস পর আদালতকে এই রায়ের কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে তার রিপোর্ট করতে।
গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ ও ক্যান্সার রোগীদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউএনও মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।
তিনি বলেন, যেসব দেশ এই রায়ের আগে মিয়ানমার যে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করেছে সে ব্যাপারে এতদিন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল, আমি মনে করি এই রায়ের পর তারা মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করবে। মিয়ানমারকে এই রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, রোহিঙ্গাদের যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি যদি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে মিয়ানমারের ১০-১১ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারব। সে কারণে তিনি আমাদের সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু মিয়ানমার যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, ছোট শিশুদের হত্যা করেছে, সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ করেছে, নির্বিচারে গলাকেটে হত্যা করেছে, সেটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। সেই অপরাধের বিরুদ্ধে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অব জাস্টিসে) মামলা করেছে। সেই মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক রায় হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে প্রাথমিকে ১০১ জন শিক্ষার্থীকে এক হাজার ২০০ টাকা করে, ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণরি ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে এক হাজার ৫০০ টাকা করে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৯ জন শিক্ষার্থীকে তিন হাজার ২০০ টাকা এবং ডিগ্রি ও অনার্স পর্যায়ে দুইজন শিক্ষার্থীকে চার হাজার ৫০০ টাকা করে দেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকপর্যায়ে ২০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ এবং দু’টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সামগ্রী এবং ৩০ জনকে বাইসাইকেল দেয়া হয়। এ ছাড়া ২১ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement