২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পশ্চিমবঙ্গেও পাস হবে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী প্রস্তাব : মমতা

-

ভারতের কেরালা ও পাঞ্জাবের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়ও পাস হচ্ছে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী প্রস্তাব। বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক এ আইনের বিরুদ্ধে শিগগির পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
মমতা বলেন, আমরা এর আগে এনপিআরের বিরুদ্ধে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করেছি। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও একটি প্রস্তাব পাস করব। এনপিআর নিয়ে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করে তিনি বলেন, এনপিআরের নামে দেশে ‘এক মারাত্মক খেলা’ চলছে। পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের (এপিআর) কাজ আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এবার এ নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলোকেও এনপিআরের বিষয়ে সতর্ক করলেন তিনি।
অন্য রাজ্যগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বসহ দেশের সব অবিজেপি রাজ্যগুলোর সরকার আগে এনপিআরের ফর্মে ঠিক কী কী তথ্য দেয়া আবশ্যক, সে সম্পর্কে জানুন, তার পর জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণসংক্রান্ত কাজ শুরু করুন। এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসির বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা গেছে তাকে। তিনি দাবি করেন, এনপিআর আসলে এনআরসির প্রথম ধাপ। এবার তাই এনপিআর নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সরকারকেও সতর্ক করলেন তিনি। এনপিআরের ফর্ম না বদলালে তিনি এই কাজ এগোনোর ব্যাপারে অনুমতি দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
২৭ জানুয়ারি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে এই সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব আলোচনার জন্য তোলা হবে বলে জানা গেছে। তবে বাম দল এবং কংগ্রেসের মতো আলাদা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মমতার এই মন্তব্যের পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দাবি তুলেছেন, এবার রাজ্য সরকার এই সিএএর বিরুদ্ধে কেরালার মতো মামলা করুক ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘একটা আইন পার্লামেন্টে সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়ার পর ওই আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা বিধিসম্মত নয়। কারণ একটা আইন যখন পাস হয়, তখন সেটি হয়ে যায় দেশের আইন। সেটি মানব না, এই মর্মে কোনো রাজ্যের বিধানসভায় প্রস্তাব নেয়া অসাংবিধানিক।’
দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে আন্দোলন তুঙ্গে। বিভিন্ন রাজ্য এই আইন কার্যকর না করার ঘোষণা দিচ্ছে। বামশাসিত দক্ষিণী রাজ্য কেরালা বিধানসভায় প্রথম পাস করা হয় সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব। সেই সাথে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে মামলা। পাঞ্জাব রাজ্য সরকারও রাজ্য বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব পাস করে। তবে এখনো এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কোনো মামলা করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।

 


আরো সংবাদ



premium cement