তামাবিল সীমান্ত স্বাভাবিক হলেও শিলং যেতে পারছেন না পর্যটকরা
- সিলেট ব্যুরো
- ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে গত শুক্রবার বাংলাদেশী পর্যটকদের ভারতে যাওয়া বন্ধ থাকলেও গতকাল শনিবার দুপুর থেকে যাত্রীরা যাওয়া-আসা করতে পারছেন। তবে, এই সীমান্ত দিয়ে চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দিলেও মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে যেতে পারছেন না বাংলাদেশী পর্যটকরা। কারফিউর কারণে শিলংয়ে আটকাপড়া অনেক পর্যটকও শনিবার দেশে ফিরে আসেননি। শুক্রবার দিনভর শুকনো খাবার খেয়ে হোটেলে অনেকটা বন্দী অবস্থায় তাদের থাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশে ফেরা পর্যটকরা।
তামাবিল অভিবাসন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রমজান মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গতকাল দুপুর ১টা থেকে যাত্রীরা শর্তসাপেক্ষে ভারত যেতে পারছেন। ভারতীয় অভিবাসন কর্মকর্তারাও পর্যটক প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন না। তবে, কারফিউর কারণে শিলং শহরে যেতে পারছেন না কেউ। তিনি জানান, শনিবার সারা দিন ৩০ জনের মতো যাত্রী ভারতে যান। তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়া একজন পর্যটক বলেন, আমাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও কারফিউর কারণে শিলং যেতে মানা করা হয়েছে। চেরাপুঞ্জি, স্নংপেডংসহ সীমান্তের আশপাশের এলাকাগুলোতে যেতে দেয়া হচ্ছে।
এর আগে ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশীদের সে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই বাধায় বিপাকে পড়েন বাংলাদেশী পর্যটকরা। আগে থেকে না জানার কারণে শুক্রবার সকাল থেকে অনেক পর্যটক তামাবিলে জড়ো হন। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন আটকে দেয়। ফলে ভারতের ডাউকি থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ডাউকি হয়ে সাধারণত ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বেড়াতে যান বাংলাদেশীরা।
তবে, যাত্রী যাতায়াত একদিন বন্ধ থাকলেও এই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পার্থ ঘোষ। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মূলত পাথর ও কয়লা আমদানি হয়ে থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা