১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

না.গঞ্জে জাপান ইপিজেডের কাজ পাচ্ছে ‘টোয়া’

ব্যয় হবে ১০৮১ কোটি টাকা
-

এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে জাপানি ইকোনমিক জোনের ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কাজটি জাপানের ‘টোয়া কোম্পানি’র হাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বেজার (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রায় এক হাজার ১০ একর জমিতে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমঝোতা চুক্তিটি সই হয় ২০১৬ সালের ২ মে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু হয় ২০১৩ সালে। জিটুজি-ভিত্তিক এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানিজ বিনিয়োগকারীদের বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্য সব ইউটিলিটি-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে ৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ভূমির দখল বেজার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ গত ২০১৯ সালের ৫ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের জন্য তৈরি সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত ক্রয়কার্যের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র (আইসিবি) পদ্ধতির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই ক্রয়কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে ৯৯৯ কোটি ৪১ রাখ ৭৫ হাজার টাকা দাফতরিক প্রাক্কলিত মূল্য হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। জাইকার গাইডলাইন অনুযায়ী খসড়া দরপত্র দলিলাদি প্রস্তুত করে জাইকার অনাপত্তি গ্রহণ করা হয়। এরপর ওই ক্রয় কার্যেও দরপত্র বিজ্ঞপ্তি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এবং সিটিইউ ও বেজার ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, আগ্রহী দরদাতাদের উপস্থিতিতে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রাক-দরপত্র বৈঠকে ক্রয়কার্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা মোতাবেক জবাব লিখিতভাবে দেয়া হয়।
দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়ে দু’টি দরপত্র জমা পড়ে। এ নিয়ে দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি কর্তৃক কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দরপত্রদাতারা কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র ও আনুষঙ্গিক দলিলাদি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক যাচাই করা হয়। মূল্যায়নকালে দু’টি দরপত্রই গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। এ দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাপানের টোয়া করপোরেশন ও টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। কারিগরি মূল্যায়নের পর অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা হয়। এতে টোয়া করপোরেশন উদ্ধৃত দর ১০৮৯ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৩২১ টাকা, যা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ১১৫০ কোটি ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ৫০২ টাকা উল্লেখ করে, যা প্রাক্কলিত দরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।
‘প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রথম স্থান অধিকারী টোয়া করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব সর্বনি¤œ হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ‘লেটার অব একসেপট্যান্স’ দিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। বিস্তারিত মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও জাইকা কর্তৃক দেয়া অনাপত্তিসহ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত নির্মাতা সংস্থার সাথে চুক্তি করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement