২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ

সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করেছে বিএনপিই

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : নয়া দিগন্ত -

ভারতের লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাসের সময় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে’ বিএনপিকে অভিযুক্ত করে যে বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা শুনেছেন- গতকাল (সোমবার) পার্লামেন্টে অমিত শাহ যে বক্তৃতা করেছেন সেখানে বিএনপির নাম উল্লেখ করে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যে, বিএনপি সরকারের আমলে এখানে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন হয়েছে! আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে জোর গলায় বলতে পারি- বিএনপি সরকারের আমলে এখানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। বরং তাদের ওপর নির্যাতন আওয়ামী সরকারের আমলে যতটা হয়েছে আর কখনো সেটা হয়নি। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই বক্তব্যের মধ্যে মারাত্মক রকমের সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণার বিষয় জড়িত রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এইভাবে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সরাসরি চিহ্নিত করা বা আঙুল দেখানো, সেটা কিভাবে শোভনীয় হয়- তা আমার জানা নাই।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, পার্লামেন্টে দেয়া তার এই বক্তব্য একেবারেই সঠিক নয়। আমাদের সরকারের সময় সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাত আমরা এড়িয়ে চলেছি। এ রকম ঘটেইনি বলা যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পরে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করাসহ যে ধরনের আক্রমণ হয়েছে, সে ব্যাপারে অমিত শাহ কিছু বলেননি। ভারতের দায়িত্বশীলরা এমন মন্তব্য করলে সেটা পক্ষপাতদুষ্ট এবং তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
ভারতের নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে নতুন যে নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে সেই আইনে পরিষ্কার করে তারা বলছে, বাংলাদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা যাচ্ছে ভারতবর্ষে এবং তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে! পার্লামেন্টে পর্যন্ত বলেছে এ কথা। পার্লামেন্টে যে আইন পাস করা হয়েছে সেই আইনের মধ্যে অমুসলিম যারা তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে পাঁচ বছর না কত বছর গ্যাপ দিয়ে। কিন্তু মুসলিম যারা আছে তাদেরকে দেয়া হবে না।
রোহিঙ্গা সমস্যা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সোচ্চার হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ব সংস্থায় অথবা আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো কথা বলছে না। অথচ আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়া মামলা করেছে, বাংলাদেশ সরকারের সেখানে কোনো ভূমিকা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement