২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চার পরিত্যক্ত বিওপিকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনে রূপান্তরের পরিকল্পনা

-

ঠাকুরগাঁও, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীর সীমান্ত এলাকায় চারটি পরিত্যক্ত বিওপিকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতন’-এ রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান স্থাপনে নীতিগত অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সার্বিক কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় অষ্টম বৈঠকের আলোচনার সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনের বিষয়টি উঠে আসে।
বৈঠক সূত্র থেকে জানা যায়, চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে সীমান্তে সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান সফল করার লক্ষ্যে ডগ স্কোয়াড গঠনের আলোচনা ছাড়াও সীমান্ত এলাকার কতগুলো পরিত্যক্ত বিওপি চিহ্নিহ্নহ্নত করা হয়েছে। সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতন’ ও ‘আলোকিত সীমান্ত’ কার্যক্রম চালু করার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে তার বিস্তারিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে শূন্য লাইন থেকে ১ কিলোমিটারের বাইরে বিদ্যমান ১২৬টি বিওপি সীমান্তের সন্নিকটে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই বিওপিগুলো স্থানান্তরের ফলে পরিত্যক্ত ১০টি বিওপির স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঠাকুরগাঁও, সুমানগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীর সীমান্ত এলাকায় পরিত্যক্ত বিওপিকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনেএ রূপান্তেরর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৯ম বৈঠকের আলোচনায় ৮ম বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারণ বেকারত্বের কারণে জীবিকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে চোরাচালান ও বিভিন্ন ধরনের সীমান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করে সীমান্তে বসবাসরত হতদরিদ্র বেকার ও অসহায় নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজিবির নিজস্ব উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ‘আলোকিত সীমান্ত’ নামে প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম যেমনÑ সৌর বিদ্যুৎ, হাঁস-মুরগির খামার, মৎস্য খামার, সবজি খামার, গরুর খামার ইত্যাদির উদ্যোক্তা সৃজন এবং সহায়তা হিসেবে রিকশা/ভ্যান, শ্যালোমেশিন, সেলাই মেশিন প্রদান চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিজিবির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকার ৫০ জন নাগরিককে ‘আলোকিত সীমান্ত’ প্রকল্পের সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে বিজিবির পরিচালকের (অপারেশন) দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল রোববার রাত সোয়া ৭টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন্স) এডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার ফরিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement