১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বহিরাগত উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ঢাবির হলে দফায় দফায় সংঘর্ষ

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল থেকে বহিরাগত তাড়াতে গিয়ে হল সংসদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুরো হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সুজন (৩০) নামের এক বহিরাগত আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এসএম হলের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম ব্লকে প্রথমে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসএম হলের ১৫২ নং কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক খান মিলন হোসাইন নিরবের মদদে সুজন (৩০) নামের এক ব্যক্তি প্রায় তিন বছর যাবৎ অবৈধভাবে থাকছেন। আটজনের ওই কক্ষটিতে তারা দুইজনই থাকেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। অন্য দিকে এসএম হলে আবাসন সঙ্কটের কারণে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও গণরুম ও হলের বারান্দায় থাকছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের নেতৃত্বে ওই কক্ষে বহিরাগত উচ্ছেদ অভিযান চালান।
জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সুজনকে রুমে একা পেয়ে মারধর করেন। এতে তিনি আহত হন। শিক্ষার্থীরা তার আসবাবপত্র রুম থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে মিলন ছাত্রলীগের খুলনা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের ডেকে লাঠিসোটা ও রড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ অবস্থায় এসএম হলের ভিপি এম এম কামাল উদ্দিন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তাহসান আহমেদ রাসেল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে হাউজ টিউটররা এসে বহিরাগত সুজনকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় হলের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষে বহিরাগত বিতাড়নে তল্লাশি চালান হল সংসদের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে এসএম হলের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসএম হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অছাত্ররা থাকছেন। এখানে থেকে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকেন। আজ আমরা হল সংসদ ও হল ছাত্রলীগের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিÑ অছাত্র ও বহিরাগতদের উচ্ছেদ করে হলকে বৈধ ছাত্রদের জন্য বসবাসযোগ্য ও মাদকমুক্ত করব। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে একজনকে ধরেছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগÑ তিনি সমাজসেবা সম্পাদক মিলন খানকে টাকা দিয়ে ভাড়া থাকেন।
অন্য দিকে মারধরের শিকার সুজন বলেন, ‘আমার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। আমি বাড়িতেই থাকি। মাঝে মধ্যে মিলনের রুমে থাকি। তবে তিনি কী করেন বা কোথায় পড়াশোনা করেনÑ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি মিলন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিলনকে ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হলের ভিপি কামাল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে এসএম হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement