২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুবলীগের সম্মেলনের নামে চাঁদা দাবি করে গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার

-

যুবলীগের সম্মেলনের নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন রাজধানীর খিলগাঁও থানার দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান সোহাগ। সম্মেলনের ঠিক আগের দিন নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকায় এক জমি মালিকের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, হাবিবুর রহমান সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্য চালিয়ে আসছেন। ইউপি মেম্বার থাকা অবস্থায় বহু মানুষের জমি দখল করেছেন। এরপর যুবলীগের খাতায় নাম লিখিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলই তার মূল পেশা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি ভূমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠেন।
সবশেষ নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার এক খণ্ড জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেন তিনি এবং ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এ বিষয়ে গত ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেন জমির মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষণাবেক্ষণে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং নানাভাবে তাদের কাজে বাধা দেন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওই জমিতে কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় প্রকাশ্যে সে বলে, ‘কাল যুবলীগের সম্মেলন। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না।’
স্থানীয়রা তার চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সাথে বাগি¦তণ্ডা শুরু হয়। এ সময় সোহাগের লোকরা কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্র হয়ে সোহাগসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগীরা পালিয়ে যায়। মারধরে আহত হয় হাবিবুর রহমান সোহাগকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement