বিএনপির চিঠি রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দিয়েছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দলটি ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, তা বোঝাতে চেয়েছে ওই চিঠিতে।
গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে দেশটির সাথে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর পূর্ণ বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে গত রোববার একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এ চিঠির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীরা এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর কোনো চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু সে চিঠিতে কোনো জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় উল্লেখ নেই। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, আসলে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান কি না?
তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলেন, অসুস্থতা নিয়ে কথা বলেন। আসলে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সত্যি বলতে ওই সফরে কোনো চুক্তিই হয়নি। যা হয়েছে তা এমওইউ স্বাক্ষর (সমঝোতা স্মারক) এবং এসওপি। অথচ বিএনপি চিঠিতে লিখেছে চুক্তি। বিএনপির মতো একটি দল চুক্তি ও এমওইউর মধ্যে পার্থক্য বোঝে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বরাবরের মতো ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। এমনকি তিনি সংবাদ সম্মেলন ও সংসদে ব্যাখ্যা দিয়ে ভারত সফরের বিস্তারিত দেশবাসীকে জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে এসব কাজ প্রধানমন্ত্রী করেননি। আসলে তারা যে চিঠি দিয়েছে তা একটি অন্তঃসারশূন্য চিঠি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা চিঠিতে ফেনী নদীর পানি নিয়ে এমওইউ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের জানা উচিত ফেনী নদীতে পানির পরিমাণ ৮০০ কিউসেক, যার ৪০০ ভাগের একভাগ ভারত খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করবে।
এ সময় বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা জিয়ার ভারত সফরের বেশ কিছু চুক্তির উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া সাত চুক্তি করে এসেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেননি। সংসদে বলেননি, এমনকি গণমাধ্যমকেও জানাননি।