২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গোলটেবিল আলোচনা

উপকূল দিবস জাতীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা যেতে পারে : আইনুন নিশাত

১২ নভেম্বর উপকূল দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবিতে গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -

১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা এখনো সবার দুঃসহ স্মৃতি হয়ে রয়েছে। তখনো ঢাকার মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি যতক্ষণ পর্যন্ত বেগম সুফিয়া কামাল ‘কাঁদো বাঙ্গালি কাঁদো’ বলে সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছেন। উপকূল দিবসও এইভাবে মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারে। তবে নামসর্বস্ব দিবস কোনো ফল বয়ে আনবে না। এর জন্য এজেন্ডা-ভিত্তিক বার্ষিকভাবে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের সহযোগিতায় ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস স্বীকৃতির দাবিতে এক গোলটেবিল আলোচনায় পানিসম্পদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার উপকূলে যে সামাজিক বনায়ন করে থাকে তা আবার ২০ বছর পরে কেটে কমিউনিটির মধ্যে দেয়া হয়, যা টেকসই উন্নয়নের সাথে যায় না। সরকার এই নীতি পরিবর্তন করতে পারলে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও বর্তমানে উপকূলে যেসব স্লুইসগেট আছে তা ডিজাইন হয়েছে ১৯৭০ সালে, যা এখনকার জন্য উপযোগী নয়। এগুলো পরিচালনা করার মতো কেউ নেই। সাইক্লোন শেল্টারগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয় না, যার অন্যতম কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা।
এ এইচ নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম মন্টু। বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, পটুয়াখালী-৩ আসনের শাহজাদা সাজু, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইকতেদার আহমেদ, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আবদুল লতিফ মাসুম, জল ও পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ইনামুল হক, উন্নয়ন বিশ্লেষক গওহার নঈম ওয়ারা।
মেজর (অব:) আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের সাইক্লোন ওয়ারনিং সেন্টার সেকেল প্রণীত হয়েছে ব্রিটিশদের দ্বারা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী নয়। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের সাথে গ্রহণযোগ্য নতুন ওয়ারনিং সিস্টেম প্রয়োজন। ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে উপকূলে দুর্যোগের অবস্থা আরো গুরুতর হবে। আশেপাশের দেশগুলোতে যেভাবে দুর্যোগ আঘাত হানছে তা প্রতিহত করা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য হবে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইকতেদার আহমেদ বলেন, জোয়ারভাটার কারণে উপকূলের নদীভাঙন সারা বছরই থাকে। উপকূলবাসীদের দিকে নীতিনির্ধারকদের নজর বাড়িয়ে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো প্রয়োজন। ম্যানগ্রোভ না থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যেত।
পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আবদুল লতিফ মাসুম ১২ নভেম্বরের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পূর্বদেশে ‘ওরা আসেনি’ শিরোনামের সংবাদকে স্মরণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement