নবীর ইজ্জত রক্ষায় লাখো জনতা জীবন দিতে প্রস্তুত : জুনায়েদ বাবুনগরী
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
ভোলার বোরহানুদ্দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা ও মহানবী সা:-কে নিয়ে কটুক্তিকারী বিপ্লব চন্দ্র শুভর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে শহীদ ও শতাধিক লোককে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আল্লাহ তায়ালা ও বিশ্বনবী সা:-কে নিয়ে কটুক্তি কখনো সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ, শান্তিপূর্ণ মিছিল মিটিংয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করা এবং দোষীদের বিচার চাওয়া এ দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ মিছিলে এভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নবীপ্রেমিকদের শহীদ করে লাখো কোটি তৌহিদি জনতার কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। মুসলমানদের শরীর থেকে রক্ত ঝরবে তা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ নগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলামের (পীরসাহেব ফিরোজ শাহ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, নবীর সা:-এর ইজ্জত রক্ষায় লাখো কোটি তৌহিদি জনতা নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত। শাহবাগে নাস্তিক মুরতাদরা যখন বিশ্বনবীর শানে কটুক্তি করেছিল তখন কেবল নবী সা:-এর ইজ্জত রক্ষার জন্য আমরা লাখো মুমিন শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়েছিলাম। বিশ্বনবীর ইজ্জত রক্ষায় প্রয়োজনে আবারো শাপলা চত্বর কায়েম করা হবে।
তিনি পুলিশের গুলিতে শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে বিশ্বনবীর ইজ্জত রক্ষায় নবীপ্রেমিক জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। শহীদদের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মিছিলে গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্য এবং অভিযুক্ত সেই এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নবী অবমাননায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে আইন পাস করতে।
সভাপতির ভাষণে মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে অবমানা করলে কোনো মুসলমান তা সহ্য করতে পারে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকীম, শোলকবহর মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ হারুন, নাসিরাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল জাব্বার, ঝাউতলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আলী ওসমান, সেগুনবাগান মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনীর, দারুল মাআরিফের মুহাদ্দিস মাওলানা এনামুল হক মাদানী, দামপারা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা এনায়েত উল্লাহ, মদুনাঘাট ইউনুছিয়ার মুহতামিম মাওলানা শেহাব উদ্দিন, হেফাজত নেতা মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজাম্মেল, মুফতি হাসান মুরাদাবাদী, মাওলানা জিয়াউল হাসান, হাফেজ ফয়সাল, কারি ফজলুল করিম জিহাদী, মাওলানা শামসুদ্দিন আফতাব, মাওলানা মনসুর, মাওলানা মাহববুর রহমান হানিফ, মাওলানা শামসুল হক জালালাবাদী, মাওলানা অশরাফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা আনম আহমদুল্লাহ, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা কুতুবুদ্দিন, মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নুর মোহাম্মদ, মাওলানা আমজাদ, মাওলানা ওসমান কাসেমী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওয়াসা মোড়ে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা