২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মেনুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোর সমাপনীতে মেনুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা : নয়া দিগন্ত -

সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ উচ্চমানের ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে প্রযুক্তিপণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ১৪ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ওয়ালটনকে পুরস্কৃত করা হয়। মেলায় শৈল্পিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে বেস্ট প্যাভিলিয়নের পুরস্কারও পেয়েছে ওয়ালটন।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক এ মেগা ইভেন্টের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল ওয়ালটন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস এলায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল ড. জেমস (জিম) পয়জান্ট, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রেসিডেন্ট শহিদ উল মুনির এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। ওয়ালটনের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান ও তাপস কুমার মজুমদার, অপারেটিভ ডিরেক্টর তৌফিক-উল-কাদের এবং ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ রোবেল ইসলাম।
স্থানীয় শিল্পের বিকাশ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে ২০০৮ সালে ওয়ালটন দেশেই চালু করে রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার তৈরির পূর্ণাঙ্গ কারখানা। ২০১০ সালে শুরু হয় টেলিভিশন এবং হোম অ্যাপ্লায়ান্স তৈরি। ২০১৭ সালে ওয়ালটন চালু করে দেশের প্রথম এবং একমাত্র কম্প্রেসার উৎপাদন কারখানা। ২০১৭ সালে ওয়ালটনই বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে। ২০১৮ সালে ওয়ালটন দেশেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং আইসিটি পণ্য উৎপাদন শুরু করে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার অগ্রযাত্রায় যা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
পুরস্কার গ্রহণ করে জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি ইলেকট্রনিকস ও আইসিটিসহ বিভিন্ন ডিভাইস দেশের চাহিদা মিটিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে। এসব দেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্য সুনাম কুড়িয়েছে। যার ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হচ্ছে। একই সাথে আমদানিনির্ভরতা হ্রাস এবং রফতানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ওয়ালটন।

 


আরো সংবাদ



premium cement