ইনোভেশন প্রদর্শনীতে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড়
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আধুনিক উদ্যোগ ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ গতকাল শেষ হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে চোখে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়নে নতুন প্রযুক্তির ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ, এলইডি টিভি, লিফটসহ ওয়ালটনের আরো ইলেকট্রিক পণ্য দেখেন তারা। প্রদর্শনীতে সারা দেশ থেকে বাছাই করা ৩০টি উদ্ভাবন প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনী শেষে গতকাল শীর্ষ ১০ উদ্যোগকে ১০ লাখ করে মোট ১ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দেয়া হয়।
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সেøাগানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রজেক্ট, এটুআই এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯’ আয়োজন করা হয়। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য ও উদ্ভাবনকে প্রাধান্য দিয়ে শীর্ষ নতুন উদ্যোগ খুঁজে পেতে মেলার আগে মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচারমূলক কার্যক্রম চালানো হয়। প্রযুক্তিবান্ধবদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছেন প্রদর্শনীতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি শহীদ উল মুনীর, লটনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, মো: হুমায়ুন কবীর প্রমুখ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন চিল মেলার প্ল্যাটিনাম স্পন্সর হিসেবে। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল স্যামসাং এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিকস, ডাচবাংলা ব্যাংক এবং সিম্ফনি ছিল সিলভার স্পন্সর।
ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ঘুরতে আসা মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন বলেন, প্রযুক্তির এমন আয়োজন আমাদের দেশে হচ্ছে ভাবতেই ভালো লাগে। গতকাল শুনেছি এখানে এই ধরনের একটি প্রদর্শনী হচ্ছে। তাই চলে আসলাম দেখার জন্য। এখানে আসার পরে মনে হলো আমাদের দেশের পণ্য ওয়ালটন কী কী নতুন নতুন পণ্য এনেছে সেটা দেখি। তিনি বলেন, ওয়ালটনের কিছু নতুন ল্যাপটপ, এলইডি টিভি দেখলাম। আমি আগে থেকেই জানি ওয়ালটনের টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল খুব ভালো হয়। ল্যাপটপগুলোর ডিজাইন আকর্ষণীয়। তিনি বলেন, এক্সপোতে আসার পর মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি। বেশ কয়েকটি রোবট দেখলাম। ওরা কথাও বলছে। নানা ধরনের উদ্ভাবন সত্যিই চমৎকার। তিনি বলেন, ওয়ালটনের স্টলে এসে দেখলাম কিছু নতুন ডিজাইনের ল্যাপটপ। আশা করি ল্যাপটপগুলো মানের দিক থেকে ভালো হবে।
প্রদর্শনীতে যে ৩০টি স্টার্টআপ ফাইনাল রাউন্ডে বিচারকদের সামনে তাদের ধারণা তুলে ধরে সেগুলো হচ্ছে : দ্য হর্সম্যান, লুব ডাব, ঝুপড়ি ডটকম, শাহীন একাডেমি, হ্যালো, ভিশন আইটি, হাম্বা, মেসবুক এক্সওয়াইজেড, ইসারা, বিটস, শিরস্ত্রান, টিগরো, ওয়ার্ল্ড এক্সজাম্পল, ও-জোন, রোড ওয়ার্ডেন, ইলেকট্রিক স্কেটেবল অ্যান্ড ওয়াকেবল সু, ওয়েডমেট এক্সওয়াইজেড, এডুবট, অপরাজিতা, ইকো সলিউশন, সোশ্যালিকা, সানতারহাট, লাইনস্কেপ, হেলথ ফ্রেন্ড, ক্রিফিট, অবসর, ডিজিটং, ক্রস রোড ইনিশিয়েটিভ, ব্ল্যাকবোর্ড এবং কগনিশন ডটএআই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা