২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতনবৈষম্য নিরসনে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন

শৃঙ্খলা ভঙ্গে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
-

সরকারি প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে দেশজুড়ে শিক্ষকরা গতকাল দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে নিজ নিজ স্কুলে এ কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
এ দিকে সরকারি কর্মচারী হয়ে এভাবে কর্মবিরতি পালনের জন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ২০১৮ বিধিমালা পরিপন্থী আখ্যায়িত করে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারা দেশের সকল বিভাগীয় উপপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাইমারি স্কুলে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলে ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে বেতন পান। তাদের মধ্যে বেতনের ব্যবধান তিন ধাপ। এটি কমিয়ে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে করার জন্য শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে আসছেন। গত ৬ অক্টোবর এ দাবিতে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে হিসেবে গতকাল তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। ঘোষণা অনুযায়ী দাবি মানা না হলে আজ মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা, বুধবার অর্ধদিবস এবং বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এরপরও দাবি মানা না হলে ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পালন করার কর্মসূচি রয়েছে। সারা দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে ৬৫ হাজার ৯৯টি।
এ দিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত অধিদফতরের আদেশ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শামসুদ্দীন মাসুদ বলেন, ব্যবস্থা নিলে চার লাখ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সারা দেশের সব শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ সংক্রান্ত চিঠির পরও তাদের পরবর্তী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মসূচি চলবে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেই কেবল কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের সকল বিভাগীয় উপপরিচালকদের বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের কাছেও।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ পর্যায়ে কোনো ধরনের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অধিকন্তু সরকারি কর্মচারী কর্তৃক এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বর্ণিতাবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল