২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

স্কুলছাত্রী রিশা হত্যা মামলায় ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড

-

রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হককে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ওবায়দুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে রিশার মা তানিয়া হোসেন, বাবা রমজান হোসেন, ছোট ভাই ও বোন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার সহপাঠীরা আদালতে উপস্থিত হন। বেলা ২টা ৫১ মিনিটে ওবায়দুলকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ৩টায় বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। ৩টা ২৬ মিনিটে আদালত ওবায়দুলের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। পরে তাকে কারাগারে নেয়া হয়। আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিশার বাবা-মা, সহপাঠী ও বাদিপক্ষের আইনজীবীরা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ৬ অক্টোবর ধার্য করেন; কিন্তু ওই দিন ওবায়দুলকে আদালতে হাজির না করায় তারিখ পিছিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ধার্য করেন আদালত।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে ফুট ওভারব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়। ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ওবায়দুলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন ওবায়দুল। রিশা প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন ওবায়দুল। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। ওবায়দুল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং মলের বৈশাখী টেইলার্সের কর্মচারী ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল