২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সরকার শিশুদের জন্য উন্নত জীবন চায় : প্রধানমন্ত্রী

শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শিশুদের সাথে ফটোসেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : বাসস -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের থাবা থেকে মুক্ত উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।
বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে গতকাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত করে আমাদের শিশুদের একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে যাতে আজকের শিশুরা সামনের দিনগুলোতে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ লাভ করে। ‘আমরা এই লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করে যাচ্ছি।’
শিশুদের উন্নত জীবনের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশু অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শিশু আইন ১৯৭৪ অনুমোদন করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যন লাকী ইনাম এবং ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেরা মেনডোনকা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
দুই শিশু রওনক জাহান ও আদিল কিবরিয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং অপর দুই শিশু মাহজাবিন ও আবদুল্লাহ আল হাসান শিশুদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শিশুদের লেখা চিঠির একটি সঙ্কলন এবং একটি শিশুর আঁকা তার পোট্রেট শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন এবং শিশুদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে সাজানো কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এবং শিশু একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই এবং তাদের ওপর লেখা বই রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নতুন করে সাজানো শেখ রাসেল গ্যালারি এবং শেখ রাসেল চিলড্রেন মিউজিয়ামে শেখ রাসেল আর্ট গ্যালারি পরিদর্শন করেন।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে শিশুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক।
তিনি বলেন, শিশুরাই জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তাই ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সুশিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তোলাটা জরুরি, যাতে করে শিশুরা ভবিষ্যতে বিশ্বে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। শিশুদের সুন্দর জীবনের জন্য তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘দেশের পাশাপাশি বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে শিশুদের মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো অত্যন্ত জরুরি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশ তার হারানো সম্মান ফিরে পেতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ টানা ১১ বছর ধরে এই অর্জন ধরে রেখেছে উল্লেখ করে এই সম্মান ধরে রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ নিয়েছেন।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিষদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল এবং তাদের জন্য বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার ব্যবস্থা করাসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
এ ছাড়া তারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের ৬৪ জেলায় রিসোর্স টিচার হিসেবে নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান।
প্রতিনিধিদল ২০১২ সালে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দান, তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের কর অবকাশ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো: ফরহাদ হোসেন ও জনপ্রশাসন সচিব ফায়েজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement