১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে ১২ উপকমিটি দুর্নীতি করলে শাস্তি : কাদের

-

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১২টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ সয জেলা-উপজেলার সম্মেলন শেষ করে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তৃণমূলকে জাতীয় সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দলের আটটি টিম সারা দেশে সাংগঠনিক সফর করবে।
গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত ১২টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় সভাপতির অনুমোদন পেলে এই কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ সব ওয়ার্ড ইউনিয়নসহ জেলা উপজেলার কমিটি গঠন করা হবে। আর এ লক্ষ্যে চলতি মাসের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দলের আটটি টিম সাংগঠনিক সফরে যাবে।
গত তিন বছরে এ সম্মেলনগুলো করা হয়নি, এখন তিন মাসে করা সম্ভব কি নাÑ এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তিন বছর আগে অনেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন কমিটি হয়নি। গত তিন বছরে আমরা কমিটিগুলো দিয়েছি। কুমিল্লা মহানগরের কমিটি দেয়া হয়েছে ২২ বছর পর। নারায়ণগঞ্জের কমিটি দেয়া হয়েছে ১৮ বছর পর। তিন বছরে অনেকগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করব। সেভাবে অগ্রসর হচ্ছি।
ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন কিভাবে হবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের, তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা সেভাবে চিন্তাভাবনা করেই দলের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধ করে পার পাওয়ার প্রবণতা আওয়ামী লীগে নেই। যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই আমলে অপকর্ম হয় না, এটি আমরা বলি না। কিন্তু অপকর্ম হলেই শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এটি অন্য দলে নেই। আওয়ামী লীগের এই কালচার আছে, এখানে কেউ অপকর্ম করলে অন্যায় করলে, দুর্নীতি করলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। বিএনপিতে শাস্তির ব্যবস্থা নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুদককে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগের কেউ অপকর্ম করলে, দুর্নীতি করলে কেউ পার পাচ্ছে না। আমাদের অনেক এমপির বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে, চার্জশিট পর্যন্ত করা হয়েছে। অনেকে জামিনের জন্য আমাদের কাছে ঘোরাঘুরি করেছেন যেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আমরা সরাসরি না করে দিয়েছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি নিজে বিষয়গুলো দেখছেন। দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাইড লাইন দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।
ছাত্রলীগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে আমি একটা কথাও বলব না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়টি দেখছেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে তিনি তার নির্দেশনা দিচ্ছেন। কাজেই এ বিষয়টি নিয়ে আমি কেন বারবার কথা বলব!
সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের। সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বি এম মোজাম্মেল হক, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অসিম কুমার উকিল, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement