২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মুক্তিযোদ্ধা দলের মানববন্ধন

জাবি ভিসিকেও অপসারণ করা উচিত : ফখরুল

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের মানববন্ধন :নয়া দিগন্ত -

দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানিয়ে বলেন, আজকে একটা খুব মজার খবর আছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে- ওটার আবার নতুন নাম দিয়েছে ‘ফেয়ার শেয়ার’ অর্থাৎ ঘুষ যে ওরা নেবে ৫%-১৯% এটা ফেয়ার শেয়ার। এই ফেয়ার শেয়ারের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম চলে এসেছে। উনি নাকি ইতোমধ্যে এক কোটি টাকা দিয়েছেন। তাহলে শুধু এই দুই ছাত্র (ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) কেনো? ভিসির কী হবে? ইমিডিয়েটলি তার পদত্যাগ বা তাকে অপসারণ করা উচিত।
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে বহু মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডিন- গোপনে ছাত্র ভর্তি করছেন রাত্রিবেলা। কোথায় আছে? কোথায় আপনার দুর্নীতিমুক্ত জায়গা? স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারালয়- কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
তিনি বলেন, রোববার নতুন পুলিশ কমিশনার জয়েন করেছেন। ভালো ভালো কথা বলেছেন। একটা কথা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে- ‘যদি ওসি কাজ না করে এবং সেবার বিনিময়ে অর্থ দাবি করে তাহলে আমাদের জানাবেন, আমরাই গিয়ে সেখানে বসব’। এই বক্তব্য হলো দুর্নীতির স্বীকৃতি। দুই (ছাত্রলীগ) নেতাকে বের করে দিয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, করাপশন চলছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, হাজার চেষ্টা করেও আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। বেরিয়ে আসছে থলের বেড়াল, ওই কালো বেড়ালের মতো এবং এটা এখন জনগণের কাছে পুরোপুরি চলে গেছে।
রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন এই দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। কারো কোনো স্বাধীনতা নেই। কী করেছে এই সরকার? এখন রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্রই আজকে রাজনীতিবিদদের পরিচালনা করছে। সেলিম সাহেব (মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম) বলেছেন সেদিন। এই কথাটা অত্যন্ত সত্য কথা। না, পলিটিক্স এখন পলিটিশিয়ানরা চালান না, রাজনৈতিক দল চালায় না, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থা তারাই এখন রাজনীতিবিদ পরিচালনা করে। এটাই বাস্তবতা, এটাই সত্য। এই সত্যকে উপলব্ধি করে জনগণকে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য দাঁড়াতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত ভয় পান কেনো? ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করতে বিভিন্ন নাটক আপনারা করলেন, কেনো? তাহলে গণতন্ত্রকে আপনারা চলতে দিতে চান না। যারা গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করতে চায় তাদেরকে আপনারা বাধা দিতে চান, তাদের পথকে বন্ধ করে দিতে চান। আসামের নাগরিক তালিকা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি সরকারকে ধিক্কার জানান এবং এই ইস্যুতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যদি একবিন্দু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে বাংলার মানুষ কোনোদিন তা মেনে নেবে না। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজের স্বার্থে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে দিন।


আরো সংবাদ



premium cement
তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু

সকল