১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনা ও নারায়ণগঞ্জে কিশোরীসহ ২ নারী ধর্ষণের শিকার : গ্রেফতার ৩

-

খুলনা ও নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরীসহ দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নারায়ণগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের পর বিয়ে না করায় থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে (২৫) ধর্ষণ করার অভিযোগে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার ওই মহিলা নিজ বাড়ির ছাদে ধর্ষণের শিকার হন। গত শনিবার রাতে তিনি বাদি হয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ সোনাডাঙ্গা থানার করিমতলা এলাকার এনামুল হকের ছেলে সৌরভ (২৯), স্থানীয় আবু নাসের হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস ও অপর এক যুবক।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমতাজুল হক জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর সাথে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৩ আগস্ট রাত ৯টায় মিনাপাড়া মিকুশিস স্কুলপাড়া এলাকায় ওই নারীকে পটিয়ে বাড়ির ছাদে নিয়ে সৌরভ ধর্ষণ করে। এ সময় অন্যরা তাকে মারধর করে। গত শনিবার রাতে উক্ত নারী বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এজাহারভুক্ত দুইজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ধর্ষণের অভিযোগ দেয়ার তিন দিন পর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। ২৩ আগস্ট উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের চৈতনকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে গতকাল রোববার বিকেলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেন।
মেয়েটির মা জানান, গত চার মাস বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ১৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে আরিফ। আরিফ উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের চৈতনকান্দা গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে।
ধর্ষিতা জানান, চার মাস ধরে ধর্ষক আরিফ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার কথা বলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বহুবার শারীরিক এবং দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন তাকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে আরিফ। এ সময় তাকে বিয়ে করার কথা বললে সে তাকে বিষ খেয়ে মরে যাওয়ার কথা বলে। তার কথা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় ধর্ষিতা কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে তার মায়ের কাছে সব ঘটনা খুলে বলার পর তার মা ধর্ষক আরিফের বাবা-মাকে এ ঘটনা জানালে তারা ধর্ষিতার সাথে আরিফের বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ের নামে এখন তারা নানান টালবাহানা করছে। গত ২৩ আগস্ট ধর্ষিতার মা ধর্ষকের পরিবারকে আবারো বিয়ে করার কথা জানালে তারা ধর্ষিতার মা ও ধর্ষিতাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে ওই দিন আড়াইহাজার থানায় এসে ধর্ষিতার মা ছেতারা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরের তিন দিন গত হলেও রহস্যজনকভাবে মামলা নেয়নি পুলিশ। অবশেষে রোববার বিকেলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। ধর্ষিতার মা আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল পুলিশের সাথে আঁতাত করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে এবং আপস মীমাংসার জন্য খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চাপ দেয় আসামি পক্ষ।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement