২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুদকের মামলায় এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক ফারুক গ্রেফতার

নকশা জালিয়াতি
-

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে (৬৫) গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে গুলশান এলাকা থেকে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
সূত্র জানায়, গত ২৫ জুন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদিম, টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, এফ আর টাওয়ারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাসভির উল ইসলামসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আলাদা দু’টি মামলা করে দুদক।
গত রোববার বিকেলে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি ও এফ আর টাওয়ারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাসভির উল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তাসভির উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩তম তলা বন্ধক রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফিন্যান্স থেকে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিরও সভাপতি। ওই টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩তম তলার মালিকানা রয়েছে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসভির।
এর আগে গত ২৯ জুলাই একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো: সদরুল আলমকে। তিনিও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। চলতি বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এর পরপরই ভবনটির নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে।
আগুন লাগার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তিন আসামি হলেন এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, ভবননির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল এবং এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম।
এফ আর টাওয়ারে অনিয়মের ঘটনায় গঠিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে দায়ী করেছে। যেসব ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদিম, রাজউকের সাবেক সদস্য ডি এম ব্যাপারী, রাজউকের সাবেক নগর-পরিকল্পনাবিদ জাকির হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহমেদ, সাবেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহ, জমির মূল মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, সাবেক অথরাইজড অফিসার এ টি এম কামরুজ্জামান, সাবেক অথরাইজড অফিসার নাজমুল হুদা, সাবেক সহকারী অথরাইজড অফিসার মো: বদরুজ্জামান মিয়া, সাবেক সহকারী অথরাইজড অফিসার বশির উদ্দিন খান, ইমারত পরিদর্শক ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো: শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মুহাম্মদ আবদুর রহমান, উচ্চমান সহকারী (সাময়িক বরখাস্ত) মো: সফিউল্লাহ, নি¤œমান সহকারী মো: মজিবুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, বিষয় পরিদর্শক মো: মেহেদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (এখন সাবেক) শাহ মো: সদরুল আলম, উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শওকত আলী (প্রেষণ), পরিচালক শামসুল আলম (প্রেষণ), সদস্য (এস্টেট) রাজউল করিম তরফদার, তত্ত্বাবধায়ক মোফাজ্জল হোসেন, তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো: এমদাদ আলী বিশ্বাস (মৃত), পরিচালক আবদুল্লাহ আল বাকি, সদস্য আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, অফিস সহকারী মো: এনামুল হক, তৎকালীন ইমারত পরিদর্শক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement