২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মওদুদ ‘ইভিল জিনিয়াস’ : কৃষিমন্ত্রী

-

বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে একজন ‘ইভিল জিনিয়াস’ হিসেবে আখ্যায়িত করে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, তার মতো মানুষদের জন্যই বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে। ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময়েও আমি এ কথাগুলো বলছি, কারণ জাতির সঠিক ইতিহাস জানা দরকার, সঠিক ইতিহাস না জানলে জাতি বিভ্রান্ত হয়।
ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছাবিনিময়কালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দীর্ঘ দিন আটকে রাখা এবং একসময় বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা ছিলেন, পরবর্তীতে তাদের কারো কারো রূপান্তরের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছু সচেতন মানুষ, এই যে ব্যারিস্টার মওদুদ আইনমন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেননি। সেখানে আইন করে এটাকে বন্ধ করা হয়েছিল। সে আইন বাতিল হয়েছে এবং তারপর বিচার করা হয়েছে। তারাও বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের জামাতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মপক্ষ সমর্থন প্রক্রিয়ার আথে যুক্ত ছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাকে প্রথম পোস্ট মাস্টার জেনারেল করা হয়। অবশ্য পরে দেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সাথে যোগ দেন তিনি। জিয়া তাকে মন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। জিয়ার মৃত্যুর পর মওদুদ আহমদ সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত ধরেন। এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ব্যারিস্টার মওদুদ বিএনপিতে ফেরেন এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন জমিতে মূল ফসল ছিল না তাই এবারের বন্যায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। বীজতলায় কিছুটা ক্ষতি হলেও আমন চাষে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরাও মাঠপর্যায়ে বীজতলা তৈরির জন্য মাঠপর্যায়ে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করছি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি সেটি আমনের জন্য খুবই সহায়ক। আমার বিশ্বাস আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেটা অর্জন হবে। আশা করি, ভালো ফসল পাবো।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেট ১২০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষির জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। আর বেশি টাকা লাগলেও প্রধানমন্ত্রী তা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। যেসব এলাকায় পানি না নামার জন্য আমন লাগাতে পারবে না। সেসব এলাকায় রবি ফসল উৎপাদনের পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ ও সার দেবো। এটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। রবি ফসলে ভুট্টা, আলু, কলাই ও অন্যান্য শাকসবজির বীজ, সার এবং অন্যান্য উপকরণ কৃষককে সরবরাহ করব; যাতে করে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পানি নেমে গেলেই মাষকলাই বুনে দেয়া হয়। এরই মধ্যে সব এলাকায় মাষকলাইয়ের বীজও আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি সব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিচ্ছি যে, বন্যার পুনর্বাসনের কাজের কী পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতির আলোকে আমরা কী কী করতে পেরেছি সেটি নির্ধারণ করতে হবে। একই সাথে তিন দিনের মধ্যে কৃষিসচিবের কাছে একটা প্রতিবেদন জমা দেবেন। তিনি বলেন, আগে তো ফসল ছিল বৃষ্টিনির্ভর। এখন আর সে অবস্থা নেই। বর্তমানে আমাদের মূল ফসল হয়ে গেছে বোরো। বোরো থেকে আমরা দুই কোটি টন চাল পাই। এ চাল পেতে আমাদের যে কী পরিমাণ মাটির নিচের পানি তুলতে হয়, এটি কেউ জানে না। এ পানি রিচার্জ হয় বৃষ্টির পানিতে। তবে শুধু বৃষ্টির পানি পুরো রিচার্জে সক্ষম নয়। এর জন্য বন্যাও প্রয়োজন। বন্যা বাংলাদেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে, আবার ক্ষতিও করে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল