২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৫ আগস্ট শেষ হজ ফ্লাইট টিকিট ও ভিসার কাজ ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

-

শেষ হজ ফ্লাইটের এক সপ্তাহ আগেই হজযাত্রীর বিমান টিকিট, ভিসা প্রসেসিং ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বেসরকারি এজেন্সিকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে হজযাত্রী প্রেরণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট চলতি বছরের শেষ হজ ফ্লাইটের দিন। গত ৪ জুলই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ পালিত হবে।
এ দিকে একই বিজ্ঞপ্তিতে এ বছর হজে যাচ্ছেন এমন সব হজযাত্রীকেও তাদের হজে যাওয়ার সব কার্যক্রম এজেন্সিগুলো সম্পন্ন করেছে কি না যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই শেষের দিকে এসে কিছু এজেন্সি ও গ্রুপ লিডারের হজযাত্রীদের সাথে প্রতারণা বিশেষ করে টাকা নিয়ে উধাও, বিমান টিকিট না করে হজযাত্রীদের হজ ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা ইত্যাদি অভিযোগ ওঠে। এ বছর বিচ্ছিন্নভাবে এই ধরনের দুই-একটি ঘটনার বিষয় আশকোনা হজ ক্যাম্পে আলোচিত হচ্ছে। তবে হাবের মধ্যস্থতায় আলোচনার বিষয়গুলো সাথে সাথেই সমাধান করে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাব নেতারা। এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় এজেন্সিও হজযাত্রীদের সতর্ক করে গতকাল এই নির্দেশনা জারি করেছে।
হজযাত্রীদের সর্বশেষ দফায় রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ দেয়ার পরই ধর্ম মন্ত্রণালয় নতুনভাবে এজেন্সিগুলোর ওপর কড়াকাড়ি আরোপ করল। সোমবার হজ এজেন্সিগুলোকে আরো ৫ শতাংশ হজযাত্রী রিপ্লেসমেটের অনুমতি দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়, যার জন্য আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে হাবের সুপারিশ নিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে তিন দফায় ১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ পেলো এজেন্সিগুলো।
এর আগে যেসব এজেন্সি মক্কা-মদিনার বাড়িভাড়া ও বিমান টিকিট করার তথ্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেয়নি তাদের বারবার তলব করে সর্বশেষ অবস্থা নিশ্চিত হয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়, রিপ্লেসমেন্ট জরুরি হয়ে পড়ায় কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের বিষয়ে অসুবিধার মধ্যে ছিল। ইতোমধ্যেই যেসব হজযাত্রী বাংলাদেশ বিমানে যাচ্ছেন তাদের আগাম টিকিট করা বাধ্যতামূলক করে দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। ফলে বিমানের সব ফ্লাইটই এই পর্যন্ত শিডিউল অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে। তবে সৌদি এয়ারলাইন্স ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে এবার এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রীদের টিকিট বিক্রি করে। এ নিয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রিরও অভিযোগ ওঠে। একই কারণে এখনো শেষ মুহূর্তে যাতে বিমান টিকিট বা ভিসা ইস্যুতে কোনো সমস্যা দেখা না দেয় সেজন্যই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
এ বছর বাংলাদেশী হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স অর্ধেক করে হজযাত্রী পরিবহন করছে। ইতোমধ্যেই প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছে গেছেন। প্রতিদিনই হজ ফ্লাইট অব্যাহত রয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার সাত হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার বাকি ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী হজে যাচ্ছেন। ৫৮৯টি বেসরকারি এজেন্সি এ বছর হজ ব্যবস্থাপনার কাজ করছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ৩টা পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৫৯০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৬০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৭০ হাজার ৯৮৬ জন। গতকাল রাত পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইটে আরো প্রায় তিন হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছানোর কথা রয়েছে। হজ শেষে চলতি বছরের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ আগস্ট থেকে। শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।


আরো সংবাদ



premium cement