২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বন্যায় সর্বত্রই ত্রাণের জন্য হাহাকার : রিজভী

-

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে ঢাকা এবং আশপাশের জেলাগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কোথাও সরকারি ত্রাণ নেই। সর্বত্রই ত্রাণের জন্য হাহাকার। অথচ প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিনের ছুটিতে চলে গেলেন লন্ডন। তিনি সেখানে গিয়ে বৈঠক করছেন। এই হচ্ছে এই সরকারের দায়িত্ব। কারণ তাদের তো নির্বাচন, ভোট ও জনগণ লাগে না। তাদের লাগে পুলিশ র্যাব ও রাতের অন্ধকার। যারা রাতের অন্ধকারে ভোট করে তাদের দায়িত্ব তো এ রকমই হবে। গতকাল সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় সাধারণ সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এ সময় আহ্বায়ক কমিটির অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জনরোষেই খালেদা জিয়ার পতন হয়েছে’ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, জনরোষ নয় শেখ হাসিনার রোষেই বন্দী করা হয়েছে গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের সামনে উন্নয়নের নামে ফানুস উড়ায়। আসলে তারা বিগত ১০ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। উন্নয়নের নমুনা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন আজকে ঢাকা থেকে গাজীপুরে যেতে সময় লেগে যায় ৫ ঘণ্টা। ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরে যায় সড়ক। সত্যিকারার্থে দেশের কোনো উন্নয়নই হয়নি।
রিজভী দেশের গুম-খুন-ধর্ষণ প্রসঙ্গে বলেন, আজকে ক্রসফায়ার আর গুমের মাধ্যমে মানুষকে নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে। দেশের সব মানুষকেই তারা নিরুদ্দেশ করতে চায়। সে কারণে শিশুখাদ্যে (দুধ) এন্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাগের মধ্যে শিশুর ছিন্ন মাথা পাওয়া যাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। আজ ফেনী থেকে বরগুনা সর্বত্রই শুধু আহজারি আর কান্না। এটাই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন। অথচ ঢাকায় ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। সেদিকে সরকারের নজর নেই। তাদের নজর হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে, সোনালি ব্যাংকের দিকে, রুপালি ব্যাংকের দিকে, সরকারি ট্রেজারিগুলোর দিকে। কারণ সেখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে তারা কানাডা মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম ও বেগম পল্লী বানাবে।
মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৎস্যজীবী দলকে গুরুত্ব দিতেন। তাই আপনাদের দায়িত্ব হলো দেশের সব মৎস্যজীবীকে ঐক্যবদ্ধ করা। তাদের দুঃখ, দুর্দশায় পাশে দাঁড়াতে হবে। গণতান্ত্রিক ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলেই মৎস্যজীবীদলের সার্থকতা আসবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement