সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ডিসিদের কঠোর নজরদারির নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা যাতে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ডিসিরা কী অসুবিধা ভোগ করছেন ও কিভাবে কাজ করলে তারা আরো অধিক স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে পারবেন সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসিরা যেগুলো বলেছেন সবগুলোই যুক্তিসঙ্গত। ইতোমধ্যে আমরা বাস্তবায়ন করার জন্য ভূমিকা নিয়েছি। যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোও আমরা করে ফেলব। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এবং অন্যান্য কার্যক্রম জেলা প্রশাসকেরা করছেন সেগুলো যেন অব্যাহত রাখেন সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ডিসিরা প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা নেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন সেই জায়গায় ডিসিরা কাজ করবেন। আবার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেভাবে আমরা দমন করে চলেছি, সেব বিষয়ে তারা খেয়াল রাখবেন। যাতে করে আবার যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের আবির্ভাব না ঘটে। তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের যে অভিযানটা চলছে এ অভিযানের সাথে সাথে ডিসিদের জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। এ জন্য তাদের স্কুল-কলেজে, ছাত্র-শিক্ষক জনতা সব পেশাজীবীদের এ সংগ্রামে সম্পৃক্ত করারও আহ্বান জানিয়েছি।
নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় সজাগ রয়েছে। জেলা প্রশাসকেরা তাদের মোবাইল কোর্টের পরিধি বাড়ানোর জন্য সার্বক্ষণিক বিশেষায়িত একটি পুলিশ ফোর্স চেয়েছেন এ বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্টের পরিধি যেটা প্রয়োজন সেটা অলরেডি হয়ে গেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ রয়েছে। সেজন্য মোবাইল কোর্টের আওতায় যতটুকু আনা হয়েছে সেটি নিয়েও কাজ হচ্ছে। বিশেষ থপুলিশ তো প্রয়োজন নেই। কারণ পুলিশ সদস্যরা সব সময় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া ডিসিদের নির্দেশনায় পুলিশ সব জায়গায় কাজ করছেন। বিজিবি, আনসারসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় একসাথে বসে কাজ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা