২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নুসরাত হত্যা মামলায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য-জেরা

-

আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় গতকাল ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসাইন, স্থানীয় কাউন্সিলর মো: ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম।
আদালতে মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থী নিপীড়নের অভিযোগ উঠত।’ আরেক সাক্ষী রাফির নিজ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: ইয়াছিন বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা কর্তৃক নুসরাত রাফির গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির খবর শুনে প্রতিবাদ করতে তার মা শিরিন আক্তার মাদরাসায় যান। মায়ের সাথে তিনিও মাদরাসায় ছুটে যান। তার সামনেই বাগি¦তণ্ডার একপর্যায়ে টেবিলে থাকা বেত দিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে কয়েকবার বেত্রাঘাতও করেন শিরিন আক্তার।’
আজ মঙ্গলবার এ মামলায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের কথা রয়েছে। এ মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো: শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রের ১৬ আসামি হলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদরাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল। এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পিবিআই অন্য পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করলে আদালত তা অনুমোদন করেন। গত ২৭ জুন মামলার বাদি ও প্রথম সাক্ষী নুসরাত রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়ার আগে সাতজন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement