গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধসহ ৬ দাবিতে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলের গণরুম ও গেস্টরুমে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন বন্ধসহ ছয় দাবিতে বিােভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তারা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ শেষ করেন। এ সময় তারা আবাসিক হলে সিট বরাদ্দে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিটের দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে : প্রথম বর্ষ থেকে প্রশাসন কর্তৃক বৈধ সিট নিশ্চিতকরণ, সিট বরাদ্দে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধকরণ, অবৈধভাবে সিট দখলকারীদের অবিলম্বে হল ত্যাগ, পলিটিক্যাল গণরুম বাতিলকরণ, গেস্টরুম নামক টর্চার সেল বন্ধকরণ, রাজনৈতিকভাবে রুম দখল বন্ধকরণ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিশ^বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গেস্টরুমে ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রথম বর্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নবীন শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তারই প্রেক্ষিতে এ প্রতিবাদী বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেন নবীন শিক্ষার্থীরা।
আয়োজক শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভিন্ন হলে আমাদের বন্ধুদের নির্যাতন করা হলেও তারা মুখ খুলতে পারছেন না। ঢাবির মতো জায়গায় এ ধরনের সংস্কৃতি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে জানান তারা।
আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে সিট সঙ্কট মূলত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন এই সঙ্কট তৈরি করেছে। আমরা দেখেছি হলে অবস্থানকারী কমপক্ষে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী অবৈধভাবে থাকছে। এদের মধ্যে রয়েছে যাদের ছাত্রজীবন শেষ তারা ও বহিরাগতরা। এ সময় গেস্টরুম নির্যাতন বন্ধের দাবি করে আরমান বলেন, প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বৈধ সিট দিতে হবে। কাউকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান করতে বাধ্য করা যাবে না। ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেন মাথা উঁচু করে পড়ালেখা করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা, খন্দকার আফসিন আজাদ, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রমী খিসা, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মিলাদুন্নবী আজাদ ও পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মঈন আহমেদ। এরা সবাই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা