২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুধে ক্ষতিকর উপাদানের দায় কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে : সিসিএস

-

দেশের বাজারে প্রচলিত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুধে ডিটারজেন্ট, সিসা, এন্টিবায়োটিক বা ফরমালিনের মতো উপাদান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও হুমকির বিষয়। সিসিএস মনে করে, দুধে ক্ষতিকর উপাদানের কারণে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়া, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়া, দুগ্ধশিল্পে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও এসডিজি বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) পাস্তুরিত দুধে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএসএফএ) পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯৩টিতে ক্ষতির উপাদান পেয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে সরকারের দুই সংস্থার বিপরীতমুখী বক্তব্যে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
পণ্যের মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার পরীক্ষা করে। বিএসটিআইয়ের দুধের স্ট্যান্ডার্ড (বিডিএস) প্যারামিটার প্রায় ১৭ বছর আগের এবং তা আর হালনাগাদ করা হয়নি। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের নির্ধারিত ৯টি প্যারামিটার পরীক্ষা করে এবং ওই প্যারামিটারে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এমনকি এন্টিবায়োটিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রীও বিএসটিআইয়ের নেই। ফলে দুধে ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি বলে বিএসটিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তা ভোক্তা সাধারণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে সিসিএস। এমতাবস্থায় বিএসটিআইকে তাদের প্যারামিটার হালনাগাদ করা এবং নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে আন্তর্জাতিক মানের প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রী সংযোজন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সিসিএস মনে করে দুধ উৎপাদন, সরবরাহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতা, দুর্বলতা, উদাসীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে দুধ নিয়ে গবেষণাকারী ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক এবং বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) প্রধান প্রফেসর ড. শাহনীলা ফেরদৌসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বা বিদ্বেষ সৃষ্টি বন্ধ করা এবং কোনো ধরনের হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হিজবুল্লাহর যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী : ১ মেক্সিকো, ২ ভারত

সকল