১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যবসায়ী ভ্রমণ কোটার আওতায় এলেন এজেন্টরা ১০ হাজার ডলার ব্যয় করার অনুমোদন দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার নীতিমালা শিথিল

-

আমদানি-রফতানিকারকদের মতো স্থানীয় মধ্যস্বত্ব কমিশনভোগীরাও (এজেন্ট) বিদেশে একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। এ জন্য বৈদেশিক মুদ্রার নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে স্থানীয় এজেন্টরা বছরে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার কমিশন থেকে ১০ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারবেন। গতকাল এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে স্থানীয় এজেন্টরা সাধারণ কোটার বাইরে আরো ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় আমদানিকারক, রফতানিকারক ও উৎপাদনকারীরা ব্যবসায়ী কোটার আওতায় বছরে ১০ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারেন। এর বাইরে তৈরী পোশাক খাতের রফতানিকারকেরা তাদের আয়ের ১৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন। এ অর্থ তারা বিদেশী ক্রেতাদের পেছনে ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করে থাকেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালায় অনুমোদন দেয়া আছে।
দেশে আমদানি ও রফতানি মাঝে বিদেশী ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে দেয়ার জন্য স্থানীয় এক শ্রেণীর এজেন্টরা কাজ করে থাকেন। এর বিপরীতে তারা একটি নির্ধারিত হারে কমিশন পেয়ে থাকেন। স্থানীয় এজেন্টরা ব্যবসায়ীদের মতো বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত হারে বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অনুমোদন চায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। কিন্তু এমনিতেই দেশ থেকে নানা উপায়ে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে বিভিন্ন মহল থেকে। আমদানি-রফতানির আড়ালেই অর্থ বেশি পাচার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এখন ব্যবসায়ীদের মতো একটি নির্ধারিত হারে বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টে অর্থ রাখার সুযোগ দেয়া হলে দেখা যাবে, যেটুকু তারা দেশে রাখছে তাও একসময় রাখবে না। যেমন, তারা বছরে কমিশন পেলো এক লাখ ডলার। ফলে নীতিমালা শিথিল করার আগে তাদের বেশির ভাগ অর্থই দেশে চলে আসছে। এখন বিদেশী অ্যাকউন্টে টাকা রাখার অনুমোদন দেয়া হলে তার বড় একটি অংশই তারা ব্যয় দেখাবে। ফলে কমিশনের যে অংশ বৈদেশিক মুদ্রা আকারে দেশে আসে তাও আর আসবে না। এতে টাকা পাচারের হার আরো বেড়ে যাবে। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টে স্থানীয় এজেন্টদের টাকা রাখার সুযোগ দেয়া হয়নি।
তবে সাধারণ ভ্রমণ কোটার বাইরে আরো ১০ হাজার ডলার ব্যয় করার তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ ভ্রমণ কোটায় সার্কভুক্ত নাগরিকদের জন্য বছরে ৫ হাজার ডলার এবং সার্ক বহির্ভূত দেশগুলোর জন্য ১০ হাজার ডলার ব্যয় করার অনুমোদন দেয়া আছে। এর বাইরে ব্যবসায়ী ভ্রমণ কোটার আওতায় আরো ১০ হাজার ডলার ব্যয় করতে পারবেন এজেন্টরা। এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। গতকালই তা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রানীতিমালা শিথিল করায় প্রকারন্তরে ব্যবসায়ীদেরই সুযোগ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে টাকা পাচার থামবে না, বরং বেড়েই যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩ শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর

সকল