২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
তিন সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

বাজেটে প্রস্তাবিত ভ্যাট ট্যাক্স বহাল থাকলে স্টিল শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে

বাজেটে স্টিল শিল্পে ভ্যাট ও ট্যাক্সের প্রভাব নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন :নয়া দিগন্ত -

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে স্টিল শিল্পে ভ্যাট ও ট্যাক্স আরোপের কারণে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তৃতা পাঠ করেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শহিদউল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল হক চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো: শাহজাহান, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মো: মাহবুবুর রশিদ জুয়েল, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য মাকসুদুর রহমান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ হোসেন খোকন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে মানোয়ার হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিটন এম এস রডের ওপর অতিরিক্ত সাত হাজার ৬৫০ টাকা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে (২০১৮-১৯) প্রতিটন রডে ভ্যাটের পরিমাণ সর্বমোট এক হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি টন রডে সর্বমোট ভ্যাটের পরিমাণ ৯ হাজার ৫০ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাট বাবদ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতি টনে ৫৪৬ শতাংশ। প্রতি মেট্্িরক টন বিলেট বিক্রয়ে ভ্যাট ৪৫০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা, প্রতি মেট্রিক টন রড বিক্রয়ে ভ্যাট ৪৫০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা, স্ক্র্যাপ বা শিপ স্ক্র্যাপ বিক্রয়ে প্রতি মেট্রিক টনে ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্রতি মেট্রিক টন রড বিক্রয়ে ২০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকা ভ্যাট বসানো হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী আমদানিকালে স্টিল উৎপাদনকারীদের কাঁচামাল আমদানির প্রাক্কালে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হবে। স্টিল শিল্পে আর্থিক বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর নির্ধারণের কারণে আরো ৫ শতাংশ অধিক চলমান মূলধনের প্রয়োজন হবে। স্টিল শিল্পগুলো ব্যাংক ঋণে পরিচালিত বলে আর্থিক সেক্টরে তারল্যসঙ্কটেরও সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর পরিশোধের কারণে ব্যাংক সুদ বাবদ উৎপাদনকারীদের ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি টন রড উৎপাদনে যেখানে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ প্রদান করতে হচ্ছে তিন হাজার ৩৫০ টাকা সেখানে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রদান করতে হবে ১৩ হাজার ৭০০ টাকা। ফলে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ প্রতি টন এমএস রডের মূল্য বৃদ্ধি পাবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement