এইচএসসি পাস করে এমবিবিএস ডাক্তার বিকিরণ বড়–য়া!
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০
পড়ালেখা উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পর্যন্ত। অথচ সাইনবোর্ড অনুযায়ী তিনি ‘এমবিবিএস’ ডিগ্রিধারী। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের মেডিক্যাল অফিসার। এই পরিচয়ে তিনি চেম্বার খুলে দিব্যি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তবে র্যাবের এক কর্মকর্তা রোগী সেজে গিয়ে ধরে ফেলেন তার প্রতারণা। এ সময় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয়নগরে আয়েশা মেডিক্যাল নামে একটি ফার্মেসিতে ১৭ জুন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও র্যাব। এ সময় কথিত ডাক্তার বিকিরণ বড়–য়াকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া জেলা প্রশাসনের পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান বলেন, বিকিরণ বড়ুয়া নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিলেও সে পড়ালেখা করেছে এইচএসসি পর্যন্ত। চিকিৎসক না হয়েও প্রতারণার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ভেজাল ও অনুমোদনহীন বিভিন্ন ওষুধ বিক্রির অপরাধে বিকিরণ যে ফার্মেসিতে চেম্বার খুলেছিলেন, সেটার মালিক ফরিদুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অভিযানে থাকা র্যাবের সিনিয়র এএসপি মিমতানুর রহমান বলেন, কথিত ডাক্তার বিকিরণ বড়ুয়ার সন্ধান পাওয়ার পর র্যাবের এক সদস্যের মাধ্যমে সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মিমতানুর রহমান রোগী সেজে আয়শা মেডিক্যালে বিকিরণের চেম্বারে যান। এ সময় চেম্বারে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ছিল, যার মধ্যে গর্ভবতী নারী এবং শিশুও ছিল। মিমতানুরকে চিকিৎসা দেয়ার সময় তিনি বিকিরণের কাছে তার পড়ালেখা সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি এমবিবিএস পাস ও কাস্টমসের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। ভারতের কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার কথা বললেও প্রকৃত সনদ দেখাতে পারেননি। তবে বাংলাদেশ থেকে এইচএসসি পাসের সনদ দেখিয়েছেন।
এ সময় ফার্মেসিতে তল্লাশি চালিয়ে চার বস্তা অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়।