২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করায় ৪ পুলিশ বরখাস্ত

-

বগুড়া সদর থানায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী সোহান বাবু ওরফে আদর (৩২) বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার উটের মোড়ের সাইদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত বাবুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, শহরের গোয়ালগাড়ি এলাকায় আল ফালাহ বহুমুখী নামে একটি সমিতি রয়েছে। সোহান বাবু আদর, সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া তিনজন মিলে ওই সমিতি পরিচালনা করেন। সমিতির অন্য দুই পরিচালক সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সদর থানার কনস্টেবল (মুন্সি) এনামুল হক বাবুকে মোবাইল ফোনে থানায় ডেকে নেন। বাবু থানায় এলে এসআই আবদুল জোব্বার, এএসআই এরশাদ ও মুন্সি এনামুল পাশের একটি নতুন কক্ষে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে পাশে একটি পিলারের সাথে বেঁধে সাথীর পাওনা ১১ লাখ টাকা ফেরত চান। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মধ্য রাতে তাকে নির্যাতন করে।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় আবার বাবুর হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত বেদম প্রহার করা হয়। নির্যাতনে বাবুর কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত রক্তাক্ত জখম হয়। থানা হাজতে বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ১২টায় এসআই আবদুল জোব্বার বাবুর বাবা সাইদুর রহমানকে ডেকে বলেন তোর ছেলে সুস্থ আছে ভালো আছে এ মর্মে মুচলেকা দিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তোর ছেলেকে নিয়ে যা। পরে বাবুর বাবা মুচলেকা ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে তার ছেলেকে থানা থেকে ছাড়িয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে বাবুর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া শহরের কাটনারপাড়া আলোরমেলা স্কুল এলাকার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে এসআই আবদুল জোব্বার ও এএসআই এরশাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কনস্টেবল এনামুল হক বলেন, আমি সামান্য চড়থাপ্পড় মেরেছি।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোহান বাবু আদরকে থানায় আনা হয়েছিল। পরে বাদি ও বিবাদির মধ্যে আপস-মীমাংসা হলে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওসি বলেন, বাবুকে নির্যাতনের কথা আমার জানা নেই।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে তুচ্ছ ঘটনায় সদর থানার এসআই জিল্লুর রহমান বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সদস্য সোহেল রানা সজিবকে শহরের জলেশ্বরীতলার বাড়ির সামনে থেকে ধরে থানায় আনেন। তাকে দুই দফা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ব্যাপারে সজিব জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। অ্যাডভোকেট সোহেল রানা সজিব দাবি করেন, তিনি সিনিয়র আইনজীবী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপের মুখে মীমাংসা করতে বাধ্য হয়েছেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধান বিরোধী নয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের

সকল