যশোরের মারুফ হত্যা মামলার ১০ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস
- খুলনা ব্যুরো
- ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০
যশোরের মাদরাসাছাত্র মো: মারুফ হোসেন (১৩) হত্যা মামলায় ১০ অভিযুক্তের সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: নজরুল ইসলাম হাওলাদার মামলার রায় ঘোষণা করেন। নিহত মারুফ যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হজরত আলী মণ্ডল ও সুলাইমান মণ্ডল, হজরত আল মণ্ডলের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন ও টুটুল মণ্ডল, মোহাম্মদ গহরের ছেলে আবুল বাশার, নূর ইসলামের ছেলে বাবু, ইশারত মণ্ডলের ছেলে ইকরামুল হোসেন, মিজানুর রহমানের ছেলে আজাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো, কালু বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের শমসের মণ্ডলের ছেলে খলিল মণ্ডল। রায় ঘোষণাকালে সাতজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদি নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আসামি আজাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে এ হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। এ ছাড়া লাশের ৬ টুকরো করার কথাও আদালতের স্বীকারোক্তিতে জানায়। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও তিনি জানান।
২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চৌগাছা উপজেলার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের কিশোর ছেলে মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে বাইরে যায়। সারাদিন খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর পাশের মির্জাপুর গ্রামের হাসেম আলীর খেজুর বাগানে মাথাবিহীন হাত-পা কাটা মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মারুফের মা মোছা: আবেরুন্নেছা বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর সিআইডির সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম এজাহারভুক্ত সাত আসামির সঙ্গে আরো তিনজনকে সংযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা