মিঠাপুকুরে শহীদ মিনার ভাঙচুর নিয়ে হাতাহাতি-মারধর
- রংপুর অফিস
- ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০
রংপুরে মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে গতকাল শনিবার বিকেলে শহীদ মিনার ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বকুল ও সাইফুল গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, পায়রাবন্দ ইউনিয়নের তকেয়া কেশবপুর ভাঁজের মোড়ে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি আশিকুর রহমান গ্রুপের ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম মওলা বকুল বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গ্রুপের নেতা সাইফুল ইসলামের নামে গত ৪ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি জিডি হিসেবে গ্রহন করে এসআই মিজানুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বিষয়টি অধরতব্য অপরাধ হিসেবে তদন্তের অনুমতি চেয়ে রংপুর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন।
বিষয়টি সমঝোতার জন্য শনিবার দুপুরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অফিসে বৈঠকের জন্য নির্ধারিত ছিল। সাইফুল গ্রুপ সেখানে উপস্থিত না হওয়ায় গোলাম মওলা বকুল তার লোকজন নিয়ে ভাজের মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় সাইফুল গ্রুপের সাথে বকুল গ্রুপের ধাওয়া-ধাওয়ি, কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রব্বানীর অভিযোগ, ভাজের মোড়ে এলাকাবাসি একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে শহীদ মিনার কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় সাইফুল ইসলাম মঞ্জু জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি শহীদ মিনারটি স্থায়ীভাবে নির্মানের পর থেকেই ওখানে হতে দিচ্ছে না। গত ৩ এপ্রিল তিনি শহীদ মিনারটি ভাঙচুর করেন। বিষয়টি জানিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করি। শনিবার বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার বৈঠক থাকলেও সাইফুল আসেনি। আমরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শহীদ মিনার এলাকায় গেলে সাইফুল ইসলাম, ফারুকসহ তাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমিই ইউপি চেয়ারম্যানেরকে প্রস্তাব দিয়ে ওই জায়গায় শহীদ মিনারটি স্থাপন করেছি। আমার পরিবার দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামী লীগ করে আসছে। আমি গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেনের পক্ষে নৌকা মার্কার ভোট করে তাকে জিতিয়েছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা