২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বৃষ্টিতে তাপমাত্রা হ্রাস পেলেও জুনের আগে গরমের তীব্রতা কমবে না  

-

হঠাৎ বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা সাময়িক হ্রাস পেলেও রোদ উঠে গেলেই বাড়ছে গরম। তবে দেশব্যাপী কোথাও তাপপ্রবাহ নেই। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে মওসুমি বায়ু বাংলাদেশের আকাশে উঠে আসার কথা রয়েছে। মওসুমি বায়ু এলেই চলমান গরম কমে যাবে। তবে বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে কড়া রোদও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি কমে গিয়ে রোদ দীর্ঘক্ষণ থাকলেই ভ্যাপসা গরমের শুরু হয়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তখন বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গরমের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। এর আগে তাপমাত্রা কমার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই।
তিনি জানান, আগামী দুই দিন সারা দেশেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে চার-পাঁচ দিন পর। তখন হয়তো গরমের তীব্রতা কিছুটা বাড়বে; কিন্তু সময় মতো মওসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও তাপ কমে যেতে পারে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,
রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্নœ ছিল শ্রীমঙ্গলে ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলে ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটাই ছিল দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের অঞ্চল।
গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পায়ে চলার পথগুলো বৃষ্টিতে ভরে যাওয়ায় চলাচলে বেশ সমস্যার সৃষ্টি করেছে। রাজপথের যেখানে নিচু সে এলাকায় সন্ধ্যার পর হাঁটুপানি জমে যায়। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা আরো নেমে গিয়ে খুব আরামদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি করে। মুসল্লিরা তারাবিহের নামাজ আদায় করেছেন ফুরফুরে পরিবেশে।


আরো সংবাদ



premium cement