১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধের অভিযোগ ঢাকার অস্বীকার

হয়রানির অভিযোগ পাক হাইকমিশনের
-

পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। ঢাকার মতে, পাকিস্তানই বাংলাদেশীদের ভিসা দিচ্ছে না। অন্য দিকে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া নিয়ে নিদারুণ হয়রানির অভিযোগ করেছে।
গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বাংলাদেশ বন্ধ করেনি। উল্টো পাকিস্তান আমাদের লোকদের ভিসা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনো কারণে ব্যক্তিবিশেষকে বাংলাদেশ ভিসা না-ও দিতে পারে। তবে ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছাপা হয়েছে।
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ঠিক, আমাদের কিছু কর্মকর্তাকে পাকিস্তান ভিসা দিচ্ছে না। বিশেষ করে ভিসা ইস্যুর দায়িত্বে থাকা কনস্যুলার সেকশনের কর্মকর্তাদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না। তাহলে কাজটা করবে কে? তারা আমাদের জোর করে ঝামেলায় ফেলতে চাচ্ছে।
পাকিস্তান কেন ভিসা দিচ্ছে নাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওদের জিজ্ঞাসা করুন। আমরা আশা করি, যে কেসগুলো পেন্ডিং আছে সেগুলো দ্রুত মিটে যাবে। আমরা ওদের সাথে যোগাযোগ করছি।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের কোনো হাইকমিশনার না থাকার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা হাইকমিশনার হিসেবে একজনের নাম পাঠিয়েছিল। সেটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এরপর তারা আর কারো নাম পাঠায়নি। তিনি বলেন, স্বাগতিক দেশের কাছে কেউ গ্রহণযোগ্য না হলে অন্য কারো নাম পাঠানো হয়, এটাই সাধারণ নিয়ম। পাকিস্তানের হাইকমিশনার পদে নতুন কারো নাম এলে আমরা বিবেচনা করব।
ভিসা ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছি কি না, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘অবশ্যই না। পাকিস্তানের সাথে সব জায়গায় আমরা একসাথে কাজ করছি।’
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর (প্রেস) আরোঙ্গজেব হেলাল এ ব্যাপারে নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে বলেন, ২০১৬ সাল থেকেই বাংলাদেশের ভিসা পেতে পাকিস্তানের নাগরিকদের কঠিন জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তানের কূটনীতিকদেরও ভিসা পেতে ছয় থেকে আট মাস অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর (প্রেস) হিসেবে পোস্টিং পাওয়ার পর বাংলাদেশের ভিসার জন্য আমাকে আট মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ভিসার জন্য আমি ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। আর ভিসা পেয়েছি ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল। আমার সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভিসা পেতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এখন রুটিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
আরোঙ্গজেব বলেন, ঢাকায় হাইকমিশনার হিসেবে সাকলাইন সাইয়াদাকে নিয়োগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে পাকিস্তান গত বছর মার্চে বাংলাদেশের কাছে অ্যাগ্রিমো পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে ১৪ মাস ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছে। শেষ পর্যন্ত সাকলাইন সাইয়াদাকে কেনিয়ায় পোস্টিং দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে নতুন কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (প্রেস) মুহম্মদ ইকবাল হোসেনের ভিসা নবায়ন না করা এবং তার পরিবারকে পাকিস্তানের ভিসা না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সাম্প্রতিক ঘটনা। আমরা বহু আগে থেকেই হয়রানির শিকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement
২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল