২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কালবৈশাখীতে কয়েক জেলায় ব্যাপক ক্ষতি

-

কালবৈশাখী ঝড়ে উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ঝড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বড় বড় গাছ উপড়ে যায়। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বগুড়ার শেরপুরে গাছচাপায় এক নারী নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। বাড়িঘর ফসলসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
রাবি সংবাদদাতা জানান, মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে গাছ উপড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোড। তা ছাড়া ঝড়ে ভিসির বাড়ির প্রাচীরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। শুক্রবার রাতে মাত্র কয়েক মিনিটের এই ঝড়ে ক্যাম্পাসের বড় একটি গগন শিরিষ গাছ উপড়ে গেছে। এই গাছ উপড়ে ভিসির বাড়ির প্রাচীরের একাংশ ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়, প্যারিস রোডের দুই পাশের বড় বড় বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে ও বৈদ্যুতিক খুঁটির তারগুলো ছিঁড়ে যায়। এতে ক্যাম্পাসে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তা ছাড়াও ক্যাম্পাসের আবাসিক মাদার বখশ্ হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হলসহ বিভিন্ন হলের আশপাশের গাছ ও ডালপালা ঝড়ে ভেঙে পড়ে।
ঝড়-বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর রাতে ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, প্রোভিসি আনন্দ কুমার সাহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহায়তায় রাস্তা থেকে গাছগুলো সরানো হয়।
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার শেরপুরে হঠাৎ ঝড়ে ১০টি ইউনিয়নের ৩ শতাধিক বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসল, গাছপালাসহ বিদ্যুতের লাইনের খুঁটি তছনছ হয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গাছচাপায় একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এ সময় ভবানীপুর ইউনিয়নের পিরাইল বিশ্বা গ্রামের মৃত নিপেন মণ্ডলের স্ত্রী জোৎস্না রানী (৫৮) গাছের নিচে দাঁড়ালে গাছের শাখা ভেঙে পড়লে তিনি মারা যান। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপজেলার শেরুয়ার রুবি, মরজিনা, শাহআলম, ফাইমা, আন্দিকুমড়ার গ্রামের আলম, হাবিবুর, তোজাম, কাশিয়াবালা গ্রামের বালা রানী, রতœা, কবিতা রানীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ঝড়ে উপজেলার আন্দিকুমড়া গ্রামের আলমের বাড়ি, কাফুরা গ্রামের উজ্জ্বল, হামছায়াপুরের নজরুল ইলামের গুমাম, পাঠানতোলা মসজিদ, রওশনের বাড়ি, শেরুয়া ফরেস্টের প্রায় ২০টি গাছ ও হাটখোলার পুরনো জামগাছসহ বিভিন্ন এলাকার গাছপালা, শেরপুর-ধুনট সড়কের রনবীরবালা থেকে শুবলী পর্যন্ত শতাধিক গাছ উপড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শেরপুর ইউনিটের কর্মীরা গাছগুলো অপসারণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী শেখ বলেন, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ মাঠপর্যায়ে শুরু করা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধান বিরোধী নয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের

সকল