২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাজার বছর আগের প্রতœনিদর্শন গোকুল মেধ অনন্য স্থাপত্য

-

গোকুল মেধ বগুড়া সদর থানার অন্তর্গত গোকুল গ্রামে খননকৃত একটি প্রতœস্থল। স্থানীয়ভাবে এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত। অনেকে একে লক্ষ্মীন্দরের মেধ বলে থাকে। এটি বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকাভুক্ত অন্যতম প্রতœতাত্ত্বিক স্থান।
মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গোকুল নামক গ্রাম এবং গোকুল, রামশহর ও পলাশবাড়ি গ্রাম তিনটির সংযোগস্থলে এটি অবস্থিত।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের মতে আনুমানিক খ্রিষ্টাব্দ সপ্তম শতাব্দী থেকে ১২০০ শতাব্দীর মধ্যে এটি নির্মিত হয়। বলা হয়ে থাকে এখানে বেহুলার বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগের অনেক পূর্বেকার ঘটনা। তবে বর্তমান গবেষকদের মতে এমনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এখানে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খণ্ডের সাথে ষাঁড়ের প্রতিকৃতি একটি স্বর্ণপত্র পাওয়া গিয়েছিল। এ থেকে ধারণা করা হয়, এটি একটি বর্গাকৃতির শীবমন্দির ছিল। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাং তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে এটিকে বৌদ্ধমঠ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন বলে জানা যায়। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই মেধকে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি নির্মাণ করা হয়েছিল পৌন্ড্রবর্ধন রাজধানীকে বাইরের শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য।
ইস্টক নির্মিত এ স্থাপত্যটি পূর্ব-পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ। এখানে ত্রিকোন বিশিষ্ট ১৭২টি কক্ষ আছে। এ কক্ষগুলোর দেখতে বেশ অস্বাভাবিক এবং এলোমেলো বুনিয়াদের বোধগম্যতাকে আরো দুর্বোধ্য করে তোলে। এই স্থাপত্যটিই বাসর ঘর নয়। এই স্থাপত্যটির পশ্চিম অংশে আছে বাসর ঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন। পূর্ব অংশে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চাসদৃশ একটি স্নান ঘর। উক্ত স্নান ঘরের মধ্যে ছিল ৮ ফুট গভীর একটি কূপ। কূপটিতে বেহুলা লক্ষ্মীন্দর মধুনিশি যাপনের পর কূপের ক্ষিতজলে স্নান করে তাতে শুদ্ধতা লাভ করতে সক্ষম হতেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement