রাজধানীতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মূলত বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটের কারণেই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে খাবারে দ্রুত পচন ধরছে। সেই খাবার খেয়েও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ রাস্তাঘাট ও ফুটপাথে অস্বাস্থ্যকর শরবত পান করেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর মহাখালী আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবি বলছে, গত বছরের ছেয়ে এবার ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ আবার তীব্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের প্রধান অধ্যাপক ডা: আজহারুল ইসলাম খান বলেন, দেশে বর্তমানে ডায়রিয়ার পিক মওসুম (বছরে দুইবার মার্চ-এপ্রিল এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বরকে ডায়রিয়ার পিক সিজন ধরা হয়) চলছে। গত দুই-তিন বছরের ডায়রিয়ায় রোগীর সংখ্যানুপাতে কয়েক দিন আগ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
তিনি জানান, গত সপ্তাহের শেষ দিন থেকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী, তেজগাঁও ও বাড্ডা এলাকা থেকে বেশি রোগী আসছে। বিশেষ কোনো কারণে ওই সব এলাকা থেকে বেশিসংখ্যক রোগী আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইসব এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। বিপুলসংখ্যক নিম্ন আয়ের লোক বসবাস করে সেখানে।
পয়লা বৈশাখের পর থেকে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বাইরের রোদে ঘোরাঘুরি ও খাওয়ার কারণে ডায়ারিয়া আক্রান্ত বেড়েছে। এ ছাড়া গরমের ঘাম শরীরের মধ্যে বসে গিয়ে শিশুরা শ্বাসকষ্টসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। নিরাপদ পানির অভাবেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন খাওয়া এবং অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ছয় মাসের বেশি বয়সী ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ওরস্যালাইন, রাইস স্যালাইন, দেশীয় মাছ, কাঁচকলা ভর্তা, থানকুনি পাতার রস, ডাবের পানি খাওয়ানোর পরমার্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। প্রয়োজন ছাড়া গরমে শিশুদের বাইরে বের না করা এবং বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
প্রতি বছর এ সময়টায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভিড়। আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে মূল ভবনের বাইরে তাঁবু খাটিয়ে বাড়তি শয্যা দিয়ে চলছে চিকিৎসা। আইসিডিডিআরবির তথ্য বলছে, এবার বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশই তীব্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আছে শিশু। এ সময় বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি জনসচেতনতার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা