২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পর্যটনের সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

-

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীগুলোকে নিয়ে এ দেশের মানুষ ভাবছে, নদীগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে এটা আমাদের বড় অর্জন। আমাদের কারণেই নদীগুলো ধ্বংস হচ্ছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছি। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ১০ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গাকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। উচ্ছেদ অভিযান অবৈধ দখলদারদের জন্য একটি মেসেজ। পর্যটনের সম্ভাবনার বিষয়গুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ ওভারকাম করতে হবে।
গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘রিভারস অ্যান্ড ওয়াটার ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ: অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ভ্রমণ’ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক রয়েছে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এক সময় বাংলাদেশের মানুষ পর্যটন নিয়ে ভাবত না। এখন বাংলাদেশের মানুষ আর সে জায়গায় নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বেশ শক্তিশালী। পর্যটন নিয়ে এখন তাদের ভাবার বিষয় আছে। পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছিÑ সেটি আমাদের ভাবনার বিষয়। বিদেশ সম্পর্কে জানি বলে বিদেশ ভ্রমণে আমাদের আগ্রহ বেশি। আমরা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভবন দেখেছি, আবার অনেকেই দেখতে যেতে পারিনি। কিন্তু বিদেশীরা ঠিকই বঙ্গবন্ধুর ভবনে যান, তারা বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ড দেখেন। তারা জানতে পারেন, বঙ্গবন্ধু কিভাবে দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীপথের সৌন্দর্য আমরা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারিনি। এখন চেষ্টা করছি। বাংলাদেশে এখন খরা, দুর্ভিক্ষ ও দরিদ্রতা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। নিজেদের অর্থে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন, সেটাতে আমরা সফল হয়েছি। এবারের চ্যালেঞ্জ হলো নদী। নদীর তীর দখল ও দূষণরোধে কাজ করছি। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হবে। নৌপথ তৈরির উদ্দেশ্য হলো পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো। নৌপথ থাকলে পর্যটক আসবে। বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতা আছে, তাদের রুচির ও চয়েজের পরিবর্তন হয়েছে।
নৌপরবিহন সচিব মো: আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম, ভ্রমণ ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা নওয়াজিশ আলী খান, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আলমগীর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবির। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।


আরো সংবাদ



premium cement