২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার কোনো দিনই ব্যবস্থা নেয়নি : ড. কামাল

গণফোরামের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন : নয়া দিগন্ত -

বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার কোনো দিনই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্য এটি বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
পরিবহন খাতে নৈরাজ্য বন্ধ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে গতকাল গণফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তিনতলায় মওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতাদের মধ্যে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাঈদুর রহমান, মোশতাক আহমেদ, রওশন ইয়াজদানী, কাজী হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, পত্রপত্রিকায়ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, চার দিকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও দেখা দিয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার দরকার আছে। সেখান থেকে এ বিষয়ে যার যার দায়িত্ব রয়েছে তাদের জানিয়ে নির্দেশ দিতে হবে। কেননা সুশাসনের অভাবে কোনো নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সুশাসনের জন্য দরকার আইনের কার্যকর পদক্ষেপ। পুলিশ যে দায়িত্ব পালন করবে সে লক্ষ্য নিয়ে আইন করা হবে। কিন্তু পুলিশকে অন্যভাবে দুর্বল করে ফেললে তখন সে আইনের শাসন থেকে সরে গেলে সড়কে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রাস্তায় গেলে বোঝা যায় কিভাবে বিশৃঙ্খলা ঘটে। এখন আইন মেনে চলা দূরের কথা, অমান্য করাটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, দায়িত্বে অবহেলা করছে।
এ দিকে লিখিত বক্তব্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব:) আ ম সা আমিন। বলেন, জনগণ আশা করেছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে সরকার সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে। কিন্তু সরকার উদ্যোগী হয়নি। সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছেই, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে সরকার আন্তরিক নয়। তারা রাষ্ট্রের অর্থবিত্ত লুটপাটে ব্যস্ত। গণপরিবহনে নৈরাজ্য দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণ রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা তাদের চাঁদাবজির স্বার্থে গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখেন। গণপরিবহন ব্যবস্থার এই নৈরাজ্যের দায় বিআরটিএও এড়াতে পারে না। এ প্রতিষ্ঠানটি সুশাসনের অভাব, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও লোকবল সঙ্কটে আক্রান্ত। নৈরাজ্য বন্ধ ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য ১৪ দফা দাবি তুলে ধরে। তিনি বলেন, গণপরিবহন আইন ন্যায্যতার ভিত্তিতে যুগোপযোগী করে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-শ্রমিকের মজুরি ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ এবং যাত্রাপথে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় দোষী চালক ও মালিকের সাজা নিশ্চিত করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সব গণপরিবহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল