১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

-

খুলনা, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গতকাল তিনজন নিহত হয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক মাদকব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর নিরালা দীঘিরপাড় এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত মাদকব্যবসায়ী নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ছোরা, চাপাতি, ১০০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, নিরালা আবাসিকের দীঘিরপাড় এলাকায় মাদক কেনাবেচা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকব্যবসায়ীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মাদকব্যবসায়ী মাসুদ রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মাদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহে ডিবি পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবিÑ নিহত রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও বিস্ফোরকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু মাদকব্যবসায়ী মাদক কেনাবেচা করছে এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদকব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মাদকব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রশিদ (৫০) নামের একজনকে পাওয়া যায়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও কিছু হেরোইন উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মেডিক্যালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত আব্দুর রশিদ ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রফিকের ছেলে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নুর মোহাম্মদ ও জিয়াউল হক আহত হন।
এ দিকে রশিদের বড় বোন সুলতানা বেগম জানান, তার ভাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নন। তবে মাদকসেবী ছিলেন। তাকে বুধবার রাতে ফোন করে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রশিদের শ্যালিকা আকলিমা খাতুন লিমার দাবিÑ তার দুলাভাইয়ের নামে কোনো মামলা ছিল না।
কক্সবাজার (দক্ষিণ) সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে মো: বেলাল হোসেন (২৫) নামের এক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছে। এ সময় ৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াবাকারবারি লক্ষ্মীপুরের শাকচর এলাকার মো: সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
টেকনাফ ২ নং ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার ৩৪নং বিজিবি বেল্লাল হোসেনকে (২৫) কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা চেকপোস্টে আটক করে। আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় বিপুল ইয়াবা নিয়ে গতকাল ভোরে সাবরাং ইউপিস্থ কাটাবুনিয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। এ সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ বিজিবির (২ বিজিবি) একটি দল ধৃত আসামিকে নিয়ে অভিযানে যায়। এ সময় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা একদল ইয়াবাকারবারি বিজিবি দলকে লক্ষ্য করে গুলি এবং আটক বেলালকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি করলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেলালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত বেলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় বিজিবি বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। 

 


আরো সংবাদ



premium cement