১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নিউ ইয়র্কে শোকসভা

কবি আল মাহমুদকে সম্মান না জানানো রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা

কবি আল মাহমুদ স্মরণে নিউ ইয়র্কে বিজেডব্লিউএ আয়োজিত আলোচনা সভা :নয়া দিগন্ত -

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ স্মরণে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যান্ড রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা (বিজেডব্লিউএ) আয়োজিত দোয়া ও শোকসভায় বক্তারা কবিকে দলমতের ঊর্ধ্বে যথাযথ সম্মান জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা-কবি আল মাহমুদকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান না জানানো রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বাইরেও তার অগণিত পাঠক ও ভক্ত রয়েছেন, যারা তাকে বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে সম্মান করেন। বক্তারা বলেন, কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে দেশ, জাতি আর বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। যা পূরণ হওয়ার নয়।
নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটির সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর বার্তাকক্ষে গত সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় কবির রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া হয়।
বিজেডব্লিউএর সভাপতি ড. শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেনÑ সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও এবং বিজেডব্লিউএর সেক্রেটারি জেনারেল আবু তাহের, সাপ্তাহিক রানার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক ড. এ টি এম ফকরুদ্দীন, নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, টাইম টেলিভিশনের নিউজ প্রেজেন্টার মিজান খন্দকার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিজেডব্লিউএর সহসভাপতি ড. আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে মনজুর আহমদ কবি আল মাহমুদের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তার লেখা আমাকে আলোড়িত করে, উজ্জীবিত করে। তিনি সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাস-চেতনা বদলাতেই পরে। কবি কখনো জাসদ বা জামায়াতের রাজনীতি করেননি। আর কবি আল মাহমুদ যদি সাম্প্রদায়িক হন, তাহলে কবি নজরুল-রবীন্দ্রনাথও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে নন। রবীন্দ্র-নজরুলও ধর্ম নিয়ে লিখেছেন।
নাজমুল আহসান কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলা সাহিত্যে আল মাহমুদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আরেকটি ‘সোনালী কাবিন’ আর রচিত হবে না।
আবু তাহের কবি আল মাহমুদের সাথে তার স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি অনেক অনেক উঁচু মাপের মানুষ হলেও ব্যক্তি জীবনে অতি সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতেন।
মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, ১৯৬৮ সালে একজন পরিণত লেখক হিসেবেই কবি আল মাহমুদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
জয়নাল আবেদীন বলেন, কবি আল মাহমুদের বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। অনেকে যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা। আর আমরা যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পাই না। তিনি বলেন, ‘সোনালী কাবিন’ ইংরেজিতে রচিত হলে কবি আল মাহমুদ নোবেল পুরস্কার পেতেন।
খন্দকার ফরহাদ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দৈনিক গণকণ্ঠের সম্পাদক হিসেবে আল মাহমুদ সাহসিকতার সাথে তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্র তাকে সম্মান না জানানো রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা।
ড. এ টি এম ফকরুদ্দীন বলেন, কবি আল মাহমুদ অনেক উঁচু মাপের মানুষ হয়েও ছোট-বড় সবাইকে সম্মান দিতেন, তিনি একজন মহৎ মানুষ ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ কবি আল মাহমুদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা দুঃখজনক। তিনি বলেন, কথায় বলে, ‘যে দেশে গুণীর কদর হয় না, সেদেশে নাকি গুণীর জন্ম হয় না’, কথাটি মাথায় রেখেই আমাদের সব সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান জানানো উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা

সকল