২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চট্টগ্রাম বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলক পুনঃস্থাপন দাবি

-

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে শহীদ জিয়ার নাম পুনঃস্থাপন করার জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর প্রসঙ্গ ও সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, সাবেক কমিশনার মাহবুবুল আলম, কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াস, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মনজুর রহমান চৌধুরী, মো: ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, বাংলাদেশ ন্যাপের ওসমান গণি সিকদার প্রমুখ।
লিখিত বক্তৃতায় ডা: শাহাদাত বলেন, আওয়ামী লীগ মহা জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির এই নির্বাচনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীস্থ জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করার জন্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব তুলে। নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরামের নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিয়া জাদুঘরের নামফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবিসংবলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে দিনের বেলায় নামফলক মুছে ফেলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরদিন পুলিশের উপস্থিতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে অবস্থিত শহীদ জিয়ার ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়, যা একজন সেক্টর কমান্ডারের অপমান নয়, পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসিকতা, সততা, নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমান দেশের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement