২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আবার চিকিৎসা শুরু

আগুন শর্ট সার্কিট থেকে
বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডের পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গতকাল নতুন করে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু হয়েছে : নয়া দিগন্ত -

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আবার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আগুন লেগে গেলে রোগীরা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। প্রায় এক হাজার রোগীকে কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৮০০ রোগী আবার ফিরে এসেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল তার বাসায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্বন্ধে সাংবাদিকদের জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। আমাদের অনেক হাসপাতাল পুরনো। সেখানে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম আধুনিকায়ন করা দরকার এবং বৈদ্যুতিক তারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ডা: উত্তম কুমার বড়–য়াকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান। গতকাল বিকেলে গুলশানের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন। ফায়ার সার্ভিসও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে আগুন লাগে। তা দেখে রোগীর স্বজনেরা চিৎকার করে এবং দৌড়ে ছুটোছুটি করলে অন্য ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং মানুষ এক সাথে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামতে শুরু করে। এতে কেউ কেউ আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র অনুযায়ী, তৃতীয় তলার স্টোর রুমেই আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন দ্বিতীয় ও নিচতলায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট দুই ঘণ্টার বেশি চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের ঠিক আগে আগুন লাগে। আগুন নিভিয়ে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আনা হলে রাত ১০টার পরই সীমিতপর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। গতকাল সকাল থেকে ভর্তি রোগীরা আসতে শুরু করলে কাগজ দেখে তাদের আবার ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে এক হাজার ১৭৮ জন রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় এবং বিকেল পর্যন্ত ৭১৮ জন রোগী ফিরে আসেন। পুরাতন রোগীর পাশাপাশি গতকাল নতুন রোগীও ভর্তি হন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। তবে গতকাল ১১ নম্বর ওয়ার্ড (শিশু), ৮ নম্বর ওয়ার্ড (মহিলা সার্জারি) এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (মহিলা) নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা হয়নি।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জন্য শিক্ষা। এটা ওয়েক আপ কল। বাংলাদেশের সব হাসপাতালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নতুন করে পরীক্ষা করে দেখা উচিত এবং একই সাথে আমাদের ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম আধুনিকায়ন করা উচিত। আমরা সব হাসপাতালেই অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখব।
তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল