২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জয়ের দেখা মিলল টাইটানসের

সিক্সার্সের অলক কাপালীর ৪ উইকেট
ব্রেন্ডন টেইলর বাউন্ডারি হাকাচ্ছেন : শফিউদ্দিন বিটু -

জয়ের দেখা মিলল খুলনার। ভালো খেললেও জয়ের দেখা মিলছিল না মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টাইটানসের। গতকালও সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করেছে তারা। সংগ্রহ করেছে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। শেষ পর্যন্ত ওই রান নিয়ে লড়াই করা গেছে। জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। ওয়ার্নারবিহীন সিলেটের স্থানীয়রাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। লিটন দাসও ভালো খেলেন। সাব্বিরও। আউট হয়ে গেছেন তারা সূচনাতেই। এতেই আর লড়াইটুকুও করতে পারেনি সিক্সার্স। শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস ১৪৯ রানে। সাত উইকেটে ওই রান সংগ্রহ করে হেরে যায় তারা ২১ রানে। এ ম্যাচে ১৭১ রানের লক্ষ্যে শুরুতে দায়িত্বশীলদের আউট হওয়ার পর লড়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ নেওয়াজ। ৩৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হওয়ার আগে হারান তিনি পোরানকে। এ ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২১ বলে ২৮ রান। জুনায়েদ খানের বলে নেয়াজ আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে মূলত সিক্সার্সের শেষ আশার প্রদীপ নিভে যায়। সোহেল তানভির, নাসির হোসেনরা আর সেভাবে খেলতে পারেনি এরপর। ফলে জয়ের লক্ষ্যে যাওয়ার আগেই শেষ তাদের ইনিংস। তাইজুল নিয়েছিলেন তিন উইকেট।
মিরপুর শেরেবাংলায় রাতের এ ম্যাচে এর আগে প্রথম ব্যাটিং করতে নামা মাহমুদুল্লাহর দলে এককভাবে সেভাবে ভালো করেনি কেউই। ব্রেন্ডন টেইলর ও জুনায়েদ সিদ্দিকীরা যে দিন ভালো করেন, সে দিন দলীয় স্কোর সমৃদ্ধ হয়। এ জুটিই যা খেলেছে। তারা ওপেনিংয়ে নেমে সংগ্রহ করেছেন ৭৩ রান। ৬.৫ ওভারে ওই রান করেছিলেন তারা। এক সময় মনে হচ্ছিল খুলনা পার হয়ে যাবে ২০০ রানের মাইলফলক। কিন্তু সিলেট সেটাকে বেশ ভালোই কন্ট্রোল করেছে। যার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন অলক কাপালী। নিয়েছেন তিনি চার চারটি উইকেট। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ২৩ বলে ৩৩ করা জুনায়েদ আউট হন প্রথম। এর পর থেকে ধারাবাহিক উইকেট পতন চলতে থাকে। ওপেনিং জুটির মতো আর বড় পার্টনারশিপ হয়নি। ফলে বিগ স্কোরের প্রত্যাশা আর পূরণ হয়নি। আল আমিন, শান্তরা বেশ দ্রুতই আউট হন। মাহমুদুল্লাহ, আরিফুল হকরা দায়িত্ব নিতে পারেননি। এতে ওই স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইটানসকে। তবে টাইটানসের এ স্কোরের পেছনে ভূমিকা ছিল আরো একজনের। তিনি ডেভিড ভিসে। ২৫ বলে করেছেন তিনি ৩৮ রান। যার মধ্যে রয়েছে দু’টি করে চার ও ছক্কা। খুলনাকে বিগ টোটালের দিকে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিলেন যেসব বোলার। তার মধ্যে অলক কাপালী অন্যতম। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাসনিক ও মোহাম্মাদ নেওয়াজও নিয়েছেন দু’টি করে উইকেট। এ জয়ে সিলেটের সাথে ৪ পয়েন্ট করে পেলেও খুলনা ওপরে সিলেটের চেয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement