গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির জবানবন্দী প্রকাশ বেআইনি : জামায়াত
- ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘জামায়াতের কৃষিবিদের স্বীকারোক্তি’ শিরোনামে গতকাল প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো: তাসনীম আলম এক বিবৃতিতে বলেন, রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যেসব আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমি এ রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিপোর্টে উল্লিখিত ও কথিত কৃষিবিদ মোস্তাক আহমেদ খাঁ নামে এক ব্যক্তির পুলিশের হাতে গ্রেফতার থাকাবস্থায় গত ১২ জানুয়ারি ১৬৪-ধারায় দেয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও সেক্রেটারি জেনারেলকে জড়িয়ে যেসব কথা লেখা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। সবাই জানেন, গ্রেফতার থাকাবস্থায় চাপের মুখে দেয়া কোনো ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী বাইরে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক কাজ। পুলিশ তার ওই জবানবন্দী প্রকাশ করার মতো বেআইনি কাজ করতে পারে না। তাই ওই জবানবন্দী প্রকাশ করে পত্রিকাটি সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনি কাজ করেছে। ওই ব্যক্তি আদৌ ওই ধরনের কোনো বক্তব্য দিয়েছে কি না তা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের জানার কথা নয়। এ থেকেই বুঝা যায়, রিপোর্টের কোনো সত্যতা নেই।
তাসনীম আলম বলেন, কৃষিবিদ মোস্তাক আহমেদ খাঁর সাথে ডা: শফিকুর রহমানের কখনো কোন সাক্ষাৎ হয়নি এবং তিনি তাকে চিনেনও না। এ রকম একজনের বরাত দিয়ে ডা: শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে যে আজগুবি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তা হাস্যকরই বটে।
তিনি আরো বলেন, রিপোর্টে উল্লিখিত এনজিওগুলো তাদের নিজস্ব কার্যক্রম ও পরিকল্পনা মতো চলে। ওইগুলোর সাথে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের সম্পর্ক থাকা বা তার নির্দেশে চলার প্রশ্নই আসে না। তাদের দেয়া অর্থে জামায়াতকে শক্তিশালী করা কিংবা জঙ্গিবাদী তৎপরতা বা নাশকতা চালানোর প্রশ্ন অবান্তর।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, গত ৯ নভেম্বর ওই পত্রিকাটিতে অনুরূপ একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা ওই দিনই যথারীতি তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু পত্রিকা কর্তৃপক্ষ আমাদের ওই প্রতিবাদটি ছাপানোর সৎ সাহস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, রিপোর্টটি সম্পূর্ণ অসত্য। জামায়াতে ইসলামী এবং এর সেক্রেটারি জেনারেলের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই আবার একই ধরনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের অসত্য রিপোর্ট প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা