১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্যান্সারমুক্ত থাকা যাবে যদি এড়িয়ে চলেন কিছু মুখরোচক খাবার

-

কিছু খাবার এড়িয়ে চললে ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। এসব খাবার একসময় ধনী মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন নি¤œবিত্তদেরও অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। খাবারগুলো মুখরোচক সন্দেহ নেই; কিন্তু পরিণামে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের রোগের কারণ হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় গবেষকেরা এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এ তালিকায় প্রথমটি হলো অত্যন্ত জনপ্রিয় কোমল পানীয়। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন ফাস্টফুড, দেশীয় খাবার পোলাও, বিরিয়ানির মতো খাবারগুলোর পরে স্বভাবতই মন চায় পানীয়টি পান করতে। এটা কোমল পানীয়। এই কোমল পানীয়ের প্রায় প্রত্যেকটা ব্র্যান্ডের নামের সাথে রয়েছে ‘কোলা’ শব্দটি। এটাকে সোডা পানিও বলা হয়। এটা ক্যারামেল কালারের। এর সাথে যোগ করা হয় কৃত্রিম রঙ। এটা এমন একটি পানীয় যা দিয়ে সিরামিকের জিনিসপত্রও খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা যায়। ভারতে কৃষকেরা একসময় কীটনাশকের পরিবর্তে এই পানীয় দিয়ে কীটনাশকের কাজ করেছেন তা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিল্ড রেড মিট। গবেষকেরা বলছেন, উচ্চ তাপে এই রেড মিট প্রসেস করা হয় বলে এতে হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এই হাইড্রোকার্বন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন। আমাদের দেশে এটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মাইক্রোওয়েভ পপকর্নে প্রথমে একটি টক্সিন তৈরি হয়। পরে পারফ্লরোকটেনয়িক এসিড তৈরি করে। এই এসিড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ তালিকার পরেই রয়েছে হাইড্রোজিনেটেড অয়েল। ভেজিটেবল অয়েল বলা হলেও এটাকে প্রসেস করা হয় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দিয়ে। পরিষ্কার করার জন্য এবং একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে আসার জন্য যে রাসায়নিক পরিবর্তন করা হয় এসব তেলে এর ফলে তৈরি হয় ওমেগা-৬ ফ্যাট। গবেষকেরা হাইড্রোজিনেটেড তেলের পরিবর্তে ওলিভ অয়েল, সয়া অয়েল অথবা ক্যানোলা (সরিষাজাতীয় তেলবীজ থেকে প্রাপ্ত) অয়েল ব্যবহার করতে বলেছেন। এগুলোতে রাসায়নিক থাকে না।
চাষ করা মাছ খাওয়া থেকেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ চাষ করা মাছের খাবার হিসেবে যা দেয়া হয় এর সবই বিষ। মাছের খাবারে থাকে নানা ধরনের রাসায়নিক, ভিটামিন, কীটনাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক। এসব রাসায়নিকের অবশিষ্ট মাছ থেকে মানবশরীরে চলে আসে। বাংলাদেশের আইসিডিডিআর.বির গবেষণায় দেখা গেছে, মাছে যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় তা মানুষ খেয়ে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী অবস্থা তৈরি হয়। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছের চেয়ে চাষ করা মাছে বেশি চর্বি থাকে যা সব সময় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয় না।
ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এমন আরেকটি খাবার হলোÑ কৃত্রিম মিষ্টি (আর্টিফিসিয়াল সুইটনার)। এই সুইটনারের ব্যাপারে বৈজ্ঞানিকভাবে যথেষ্ট ড্যাটা নেই, যা প্রমাণ করে যে এটা মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। এই সুইটনার শরীরে ডিকেপি টক্সিন তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত ব্রেইন টিউমার হয়। ক্যান্সার তৈরি করে রিফাইন্ড সাদা আটা অথবা ময়দা। এই আটাকে সাদা করার জন্য ক্লোরিন গ্যাসসংবলিত ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়। সাদা আটার কার্বোহাইড্রেট রাসায়নিক বিক্রিয়ার পর একক সুগারে পরিণত হয়। এটা ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সহায়ক। এরপরের তালিকায় রয়েছে ফাস্টফুডে ব্যবহৃত বেকন, হট ডগস, সসেজ, ডেলি মিট। এসব খাবার প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহার করা নাইট্রেট অ্যান্ড নাইট্রাইটের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক লবণ। এসব রসায়নিক খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং খাবারকে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখে এবং পরিণামে ক্যান্সার কোষ তৈরিতে সহায়ক হয়। আরেকটি জনপ্রিয় খাবার পটেটো চিপস। এটা অনেকটা রাসায়নিকের ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটা ট্রান্স ফ্যাটের মাধ্যমে ভাজা হয় এবং পরে রাসায়নিক লবণ ব্যবহার করা হয় যা স্বাদ বাড়ায়। এটাও ক্যান্সার সৃষ্টি করে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল